চলমান কোভিড-১৯ মহামারি থেকে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে সরকারকে পদক্ষে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
সোমবার ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি সংক্রান্ত একটি প্রকাশনা প্রকাশ করে এমসিসিআই। এতে উল্লেখ করা হয়, এ অর্থবছরে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের বৃদ্ধির হার খুবই কম।
প্রকাশিত তথ্য মতে, জিডিপির হিসাবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মোট বিনিয়োগ ২৯.২৯ শতাংশে রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরে ৩০.৪৭ শতাংশ ছিল। আর বেসরকারি বিনিয়োগ ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২১.২৫ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ২২.০৬ শতাংশ। এছাড়া ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পাবলিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৬৭ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৮.৪১ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়েছে, মূলত অনুন্নত অবকাঠামো এবং এনার্জি ক্ষেত্রে দেশীয়, বিদেশি এবং বেসরকারি বিনিয়োগ কম হয়েছে। কারণ দুর্বল ট্রান্সমিশন অবকাঠামোর অভাব, নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোর ধারাবাহিকতার অভাব, শিল্প জমির সীমাবন্ধতা। এছা্ড়াও দুর্নীতি, অ-স্বচ্ছতা এবং দেশে নিয়ম-কানুনের অসম প্রয়োগের কারণেও এ সমস্যা হচ্ছে।
চলমান কোভিড-১৯ মহামারি থেকে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার জন্য আরও প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার জন্য সরকারকে এ প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে, বলেও সুপারিশ করা হয়।
সংগঠনটি আরও উল্লেখ করেছে, যদিও ২০২০-২০২১ অর্থবছরে নীট প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) ৩৯.৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে; যা আগের অর্থবছরে ছিল ১.২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পর্যালোচনার অধীনে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রবাহও ৮.৩৬ বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩.২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রবাহ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় কম।
প্রকাশনায় বলা হয়, বাংলাদেশের শ্রমের দাম কম, এমনটা মনে করা হয়। যে কারণে সাধারণত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবুও দেশের অনুন্নত অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত সক্ষমতার অভাব এবং দুর্বল ট্রান্সমিশন অবকাঠামো, নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোর ধারাবাহিকতার অভাব, শিল্প জমির সীমাবদ্ধতার কারণে নতুন বিনিয়োগ করতে চায় না বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
এছাড়াও, দুর্নীতি, নিয়ম ও বিধিমালার অ-স্বচ্ছতা এবং দেশে নিয়ম-কানুনের অসম প্রয়োগ জন্য নতুন বিনিয়োগ কম হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রকাশনায়।