প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

আরও ১ বছর ঋণের স্থগিতাদেশ চান পাটকল ব্যবসায়ীরা

২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩:৩৮:২৯ | আপডেট: ৩ years আগে
আরও ১ বছর ঋণের স্থগিতাদেশ চান পাটকল ব্যবসায়ীরা
ছবি: সংগৃহীত

আরিফুর রহমান তুহিন

নতুন করোনা পরিস্থিতি, মালামাল পরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি, কাঁচা পাটের উচ্চ মূল্য এবং নেতিবাচক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি- এসব বিবেচনা করে ঋণের কিস্তি পরিশোধের স্থগিতাদেশ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও এক বছর বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাটকল ব্যবসায়ীরা।

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন বলেন, সময় বাড়ানো না হলে ঋণ শ্রেণিবদ্ধ হয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন তারা।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এমনকি কিছু কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারেন মালিকরা, যা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন- এফবিসিসিআইও ঋণের শ্রেণিবিন্যাসের সুবিধা আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করেছে।

বাংলাদেশে পাট ও পাট স্পিনিং মিলের সংখ্যা প্রায় ৩৫০টি। এসব কারখানার প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ রয়েছে, এর প্রায় ২৫ শতাংশ শ্রেণিবদ্ধ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, করোনা মহামারি সত্ত্বেও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১.১৬ বিলিয়ন আয় করেছে পাট খাত, যা ৩১ .৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭.৪৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৭ মিলিয়ন ডলারে।

পাট রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, কাঁচা পাটের উচ্চ মূল্য এবং পণ্যের বর্ধিত ব্যয় রপ্তানি কমার প্রধান কারণ।

বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এসরাত জাহান চৌধুরী দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, মার্কিন ডলারের বিপরীতে লিরার অবমূল্যায়ন রপ্তানি কমার অন্যতম প্রধান কারণ।

বিজেএমএ প্রধান হোসেন বলেন, করোনা মহামারি ও কাঁচা পাটের উচ্চমূল্যের কারণে কিছু মিল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন মালিকরা এবং অনেকগুলো আংশিকভাবে চলছে। তার উপরে এপ্রিল থেকে রপ্তানি আয় কমেছে।

আবুল হোসেন দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, আমরা সরকারকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ স্থগিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের মাত্র ২ শতাংশ সদস্য মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে টাকা পেয়েছেন।

আবুল হোসেন বলেন, যারা প্রণোদনার তহবিল পাননি, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা, তারা ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন। সরকার যদি বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করে, তাহলে আমরা ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারব না। একই সঙ্গে ঋণ শ্রেণীবদ্ধ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।