হাসান আল জাভেদ
বন বিভাগের সাম্প্রতিক একটি প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে পরিযায়ী পাখিদের সুরক্ষার জন্য এয়ারগান নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়।
এটি এখন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত আসন্ন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কিছু লোক নির্বিচারে শীতকালে এয়ার রাইফেল ও এয়ার পিস্তল ব্যবহার করে পরিযায়ী পাখি শিকার করে। যা ধীরে ধীরে জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও সুরক্ষা) আইন ২০১২ সংশোধন করে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিরও প্রস্তাব করেছে বন বিভাগ।
গত ৯ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বন-১) এএসএম ফেরদৌস দ্য বিজনেস পোস্ট'কে বলেন, এয়ারগান ব্যবহারকারীদের সরকারের কাছ থেকে কোনো লাইসেন্স নিতে হয় না।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দেশে এয়ারগানের সংখ্যার কোনো তথ্য নেই।
তিনি আরও বলেন, এয়ারগান ব্যবহারকারীরা বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন করে পাখি শিকার করে।
এএসএম ফেরদৌস বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করলে এয়ারগান ব্যবহারকারীদের তাদের অস্ত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সমর্পণ করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পরে কেউ যদি এই ধরনের অস্ত্র দিয়ে বন্যপ্রাণী শিকার করে তবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী শিকারের অতিরিক্ত শাস্তি বর্তমান আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই ধরনের অস্ত্র বেশিরভাগই বৃহত্তর সিলেট, পার্বত্য অঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকায় ব্যবহৃত হয়।
বন বিভাগ বলছে, ২০১২ আইনে বন্যপ্রাণী শিকার নিষিদ্ধ করা হযেছিল। কিন্তু এয়ারগান বহন বা কেনার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম না থাকায় অনেকেই এ অস্ত্র কিনছে। এছাড়াও এ অস্ত্র ব্যবসার উপর কোনো নজরদারি নেই।
বন বিভাগের সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ) মোল্লা রেজাউল করিম দ্য বিজনেস পোস্ট'কে বলেন, নির্বিচারে শিকারের কারণে অনেক বন্যপ্রাণী প্রজাতি বিলুপ্তির পথে।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু এয়ারগান এখনও নিষিদ্ধ করা হয়নি। এর অনেকেই এটা ব্যবহার করছে।