ফসলের বৈচিত্র্য, উদ্যোক্তা ও জলবায়ুর উন্নয়নে সাত হাজার ২১৪ কোটি টাকার একটি ঋণ আলোচনা শেষ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) এবং বাংলাদেশ সরকার।
বুধবার বিশ্বব্যাংকের সহ-অর্থায়নে ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফর্মেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রাপেনিউরশিপ এন্ড রেজিলেন্স (পার্টনার)’- প্রোগ্রামের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে আলোচনা করে ইফাদ।
ইফাদ এর নির্বাহী বোর্ড থেকে এ ঋণ অনুমোদন পাওয়ার পর, বাংলাদেশের ৫০ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এছাড়াও অনুমোদনের পর সম্প্রসারণ, গবেষণা, অবকাঠামো ও বিপণন বিস্তৃত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে কৃষি খাতে একটি বড় রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাতটি বিভাগ দেশব্যাপী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
প্রস্তাবিত কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- কার্যকর সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের জন্য ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড প্রবর্তন, উচ্চমূল্যের ফসলের জন্য উন্নত রপ্তানির সুযোগ, গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস (জিএপি) প্রচার এবং কৃষি পণ্যের জন্য উন্নত ল্যাবরেটরি ও পরীক্ষার সুবিধা স্থাপনের জন্য বিনিয়োগ।
প্রকল্পটি সেচ ব্যবস্থার উন্নতি এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের জলবায়ু-স্মার্ট অনুশীলন প্রদর্শনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কৃষি খাতের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করার কাজ করবে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ইফাদ জানিয়েছে, ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশের জন্য ইফাদ কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নউড হ্যামিলার্সের নেতৃত্বে ঋণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আর্নউড হ্যামিলার্স বলেন, ‘এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশের গ্রামীণ রূপান্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইফাদ তার দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক সফলভাবে পার্টনার বাস্তবায়ন ও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে দেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য সহযোগিতা করার জন্য উন্মুখ।’
পাঁচ বছর মেয়াদী এই কর্মসূচির অর্থায়ন করা হবে ইফাদ থেকে ৪৩ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং বাংলাদেশ সরকারের ৮০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি।