ইস্তাম্বুলে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ব মহামারি কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট আর্থ-সামাজিক সমস্যা হতে বাংলাদেশের জনসাধারণের রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে সফল হয়েছে। এর সুফল বাংলাদেশের মানুষ এখন ভোগ করছে। সামাজিক সুরক্ষাবলয়ের আওতায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাসহ ডিজিটাল ব্যবস্থার ব্যবহার সফল হয়েছে, এখন তা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত কমসেক-এর ৩৮তম বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জনসাধারণের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের জন্য সরকার ২৮টি আর্থিক ও স্টিমুলাস প্যাকেজ গ্রহণ করেছে। সরকারের “কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না (No one will go hungry)” কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে গৃহহীন জনসাধারণের জন্য গৃহনির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জনসাধারণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত হবে।
উল্লেখ্য, কমসেক-এর এ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য “Effective Social Assistance Provision and Socioeconomic Empowerment in the light of COVID-19 Pandemic.” অর্থাৎ কোভিড-১৯ এর অভিঘাত মোকাবিলায় কার্যকর সামাজিক সহায়তা ও আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নে সহযোগিতা প্রদান। ৫৭ সদস্য বিশিষ্ট ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) চারটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মধ্যে কমসেক উল্লেখযোগ্য। এটি ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার জন্য গঠিত অন্যতম প্লাটফর্ম। ৩৮তম কমসেক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি কমসেক-এর বর্তমান চেয়ারম্যান।
আগামীকাল ২৯ নভেম্বর মিনিস্ট্রিয়াল ডিক্লারেশনের মাধ্যমে কমসেক মন্ত্রী পর্যায়ের ৩৮তম সম্মেলন শেষ হবে। এর আগে ২৬-২৭ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তিন সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।