চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, তারপরও দাম বেড়েছে এটাই ঠিক। আমরা অভিযান শুরু করেছি।
বাজার স্বাভাবিক রাখতে সমিতির লোকদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করা হলেও সুফল পাওয়া যায় না বলেও জানান তিনি।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
সম্প্রতি তেল ও চালের বাজার অস্থিরতা নিয়ে মহাপরিচালক বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির পরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু তখন বড় ধরণের ব্যবস্থা নেয়া যায়নি কারণ এতে বাজার হয়তো আরো অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হতো।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বাজার কারসাজি নিয়ে তিনি বলেন, ১৬০ টাকা তেলের লিটার বেঁধে দেয়ার পর সেটার মূল্য ঠিক জায়গায় আনতে ১৫দিন সময় লেগেছে। রমজানের ঈদের পর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে একে অন্যকে ব্লেম গেম দেয়া শুরু করেছে। পরে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। নিজেরা যোগসাজশ করে বাজারে সংকট তৈরি করেছে।
ডিজি বলেন, যেখানেই জনগণের স্বার্থক্ষুন্ন হয় সেখানেই আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ২১৭ জন জনবল দিয়ে সব ভোক্তার জন্য কাজ করা অসম্ভব। তাই প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে সবার আগে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, পুরোপুরি চাপমুক্তভাবে কাজ করছি। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি, সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে। কিন্তু কোনো মহল থেকে আমি চাপের মুখে পড়িনি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সংশোধনের কাজ চলছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব।
সেমিনার সমন্বয় করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, আফরোজা রহমান, সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস প্রমুখ।