প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

চাহিদা বাড়ছে প্লাম-কিউই ফলের

১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৪১:২৩ | আপডেট: ৩ years আগে
চাহিদা বাড়ছে প্লাম-কিউই ফলের
ছবি-দ্য বিজনেস পোস্ট

মোহাম্মদ নাহিয়ান

অন্যান্য ফলের চেয়ে একেবারেই অন্য ধরনের স্বাদ রয়েছে প্লাম এবং কিউইতে। এছাড়াও উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এ ফল দুটি। তাই দামী হওয়া সত্ত্বেও ধীরে ধীরে এর চাহিদা বাড়ছে।

সরকারিভাবে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি প্লাম ও কিউই বিক্রি বেড়েছে।

মিরপুর-১ এর ফল ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান রায়হান দ্য বিজনেস পোস্ট'কে বলেন, এ দুটি বিদেশী ফল ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে। অনেকেই ফলের নাম জানেন না, তবে দাম বেশি থাকা সত্ত্বেও কৌতূহলবশত কিনে নেন।

তিনি বলেন, প্লাম ও কিউই উভয়ই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়। প্লাম মূলত থাইল্যান্ড এবং কিউই নিউজিল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়।

প্লাম হল একটি মাঝারি পাথর আকৃতির ফল। ফলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় বৈচিত্র্য হলো এর ভিতরে হলুদ মাংসের সাথে গাঢ় বেগুনি-লাল চামড়া রয়েছে।

কিউই উজ্জ্বল সবুজ মাংস এবং বাদামী, লোমশ ত্বক আছে। ডিম আকৃতির এ ফলের অভ্যন্তর বিন্দুযুক্ত কালো বীজ রয়েছে। নিউজিল্যান্ড থেকে আসা একই নামের পাখির নামানুসারে ফলটির নামকরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক রাকিব হোসেন বলেন, প্লাম এবং কিউই বাংলাদেশে এখনও তেমন পরিচিত নয় কারণ এগুলো এখানে জন্মায় না।

তিনি বলেন, ফলটি অল্প পরিমাণে আমদানি করা হলেও ঠিক কত সংখ্যক দেশে আনা হয় তার নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

কারওয়ান বাজারের এক ক্রেতা সালেহ মোহাম্মদ আদনান জানান, তিনি প্লাম এবং কিউই কিনে থাকেন কারণ এগুলো খুবই সুস্বাদু। তবে বাজারে পাওয়া অন্যান্য বিদেশী ফলের তুলনায় এ ফল দুটির দাম অনেক বেশি।

প্লাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তারা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। কারণ এতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামক পলিফেনলের উচ্চ মাত্রা রয়েছে। হার্টকে সুস্থ রাখতেও এটি অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে।

কিউইতে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বেশি। এতে প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও সমৃদ্ধ। ফলটি হার্টকে সুস্থ রাখে এবং হজমে সহায়তা করে।

দাম কমলে আগামী দিনে প্লাম ও কিউই বিক্রি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বেশি থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্থানীয়ভাবে রপ্তানির জন্য ফল সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের ফল আমদানি ৩৯.১২ শতাংশ বেড়ে ৪৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। যা আগে ছিল ৩৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, দেশে বার্ষিক ১১.৬৮ মিলিয়ন টন ফলের চাহিদা রয়েছে। এগ্রিকালচার ইনফরমেশন সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৭২ ধরনের ফলের চাষ হয়।