বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা পরিকল্পনা মাফিক চললেও প্রাথমিক জ্বালানির ধারাবাহিক সরবরাহ ধরে রাখা এখন চ্যালঞ্জের মুখে রয়েছে।
সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা পরিকল্পনা মাফিক চললেও প্রাথমিক জ্বালানির ধারাবাহিক সরবরাহ এখন চ্যালঞ্জের মুখে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সমন্বিত মহাপরিকল্পনা অনুসারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতের উন্নত অবকাঠামো তৈরিতে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৮০ বিলিয়ন টাকা প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও বৈদেশিক উৎস হতে এই অর্থ সংগ্রহ করা হবে। স্মার্ট গ্রিড, আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা, সাশ্রয়ী উৎপাদন সিস্টেমে এই বিনিয়োগ করা হবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আগামী দুই বছরে আরও ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়ণযোগ্য উৎস হতে উৎপাদন করা হবে। নেপাল থেকেও আসবে বিদ্যুৎ। এছাড়াও গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে।’
পিএসসি হালনাগাদ ও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। ট্রান্সমিশন বেসরকারি খাতে দেওয়া হচ্ছে। বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে, আশা করি আরও গ্যাস পাওয়া যাবে। ভোলার গ্যাস মূলধারায় আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আসন্ন বাজেটের পর জ্বালানির দাম সমন্বয়ের সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বিভিন্ন ধরনের জ্বালানিতে ভিন্ন পরিমাণের ডিউটি রয়েছে। এই ডিউটি ইউনিক করার প্রস্তাবনা রয়েছে। আগামী বাজেটে জ্বালানির ওপর ডিউটি কমানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে। বাজেটে ডিউটি কমলে পরবর্তীতে জ্বালানির দাম সমন্বয় করার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।’
এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে, নির্বাহী পরিচালক রিসান নসরুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপপা) ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হোসেন।
এতে আরও বক্তব্য দেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক এজাজ হোসাইন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সাবেক সদস্য মো. মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিপপার প্রেসিডেন্ট ফয়সাল খান প্রমুখ।