দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন রোববার ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। কারণ বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার তাদের ফ্লোর প্রাইসের মধ্যে আটকে রয়েছে।
এছাড়াও, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত দেশের ব্যাংকিং খাতে কথিত ঋণ কেলেঙ্কারির ফলে বিনিয়োগকারীরা আস্থার সংকটে আছেন বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
আজ ডিএসই’র লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩১৩ কোটি টাকা, যা ২০২১ সালের ৬ মের পর সর্বনিম্ন।
গত বছরের ৫ মে প্রাইম শেয়ারের টার্নওভার ২৩৭ কোটি টাকা।
তাছাড়া, আজকের লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে। গত কার্যদিবসে ৪৮৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজার নতুন বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচেছন না। ফলে বাজারে লেনদেন কমছে।
এছাড়া অনেক বিনিয়োগকারী যারা মার্জিন লোন নিয়ে শেয়ার কিনেছেন তাদের ঋণ পরিশোধের চাপের মুখে শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আজ লেনদেন হওয়া ৩০০ টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ২১৪টি বা ৭১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিল।
এই অসুস্থ পরিস্থিতির কারণে, অনেক বিনিয়োগকারী আরও লোকসান এড়াতে তাদের শেয়ার বিক্রি করার চেষ্টা করছিল কিন্তু কোন ক্রেতাই বড় লোকসানের আশংকায় নতুন করে বিনিয়োগ করছেন না।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা ডিএসই’র লেনদেন ব্যাপক পতনের জন্য ফ্লোর প্রাইস সিস্টেমকে দায়ী করেছেন কারণ অনেক ভালো মৈালভিত্তির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটেকে আছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২২৪ পয়েন্টে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দশমিক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৩০০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৪টির।