প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

পুঁজিবাজারে লেনদেন বিঘ্ন

ডিএসই'র সিটিওকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালো বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ অক্টোবর ২০২২ ২১:৪৯:০৩ | আপডেট: ২ years আগে
ডিএসই'র সিটিওকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালো বিএসইসি
মোহাম্মদ জিয়াউল করিম (ফাইল ছবি)

কারিগরি ত্রুটির কারণে লেনদেনে বিঘ্নের ঘটনায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মো. জিয়াউল করিমকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বারবার লেনদেন বিঘ্নের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডিএসই'র সিটিওকে ছুটিতে থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সোমবারের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে, ডিএসইর কারিগরি ত্রুটির কারণ ও সংস্থাটির প্রযুক্তিব্যবস্থার কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসানকে। কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে, বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ ওরাইসুল হাসান, সিসিবিএলের মহাব্যবস্থাপক ইমাম হোসাইন, সিডিবিএলের মহাব্যবস্থাপক মঈনুল হক ও বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ দস্তগীর হোসাইনকে। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত ২৪ অক্টোবর অন্যান্য দিনের মতো সকাল সাড়ে ৯টায় দিনের স্বাভাবিক লেনদেন শুরু হয়। তবে ১০টা ৫৮ মিনিট থেকে কারিগরি ত্রুটির কারণে লেনদেন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা ২ টা ১০ মিনেটে পুনরায় লেনদেন শুরু হয়ে ২ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত চলে। বাকি ৫ মিনিট ছিল পোস্ট ক্লোজিং সেশন।

গত বছরের ১৮ জুলাইও লেনদেনের মাঝে কারগরি ত্রুটির কারণে লেনদেন বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে ডিএসইতে। ওইদিন সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর ১ ঘণ্টা ৯ মিনিট পর বেলা ১১টা ৯ মিনিটে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি সারিয়ে ওইদিন ফের লেনদেন শুরু হয় দুপুর ১টায়। এদিন লেনদেনের সময়সীমা বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

এ ধরনের সমস্যা অবশ্য নতুন কিছু নয়। আগেও বারবার ডিএসইতে কারিগরি ত্রুটি দেখা গেছে।

ডিএসইতে কারিগরি ত্রুটি

২০২০ সালের ডিএসই ১৮ আগস্ট ডিএসই ওয়েবসাইটের আপডেটেড ভার্সন সচল করার পর শেষ সেশনে বড় ঝামেলা পোহাতে হয় বিনিয়োগকারীদের। সে অবস্থা দুদিন ছিল।

২০১৫ সালের ২৪ মে ডিএসই সার্ভারে কারিগরি ত্রুটির কারণে লেনদেন তিন ঘণ্টা ৫০ মিনিট বন্ধ থাকে।

২০১৩ সালে জানুয়ারিতে ওএমএস প্লাসের জটিলতার কারণে লেনদেনের শুরুতে ব্রোকারেজ হাউসগুলো মূল সার্ভারে লগ-ইন করতে পারেনি।

২০১২ সালে ডিএসইর সার্ভারের কারিগরি ক্রটির কারণে লেনদেন শুরু হয় এক ঘণ্টা পর। এর আগে ২০১০ সালে দুইবার এমন কারিগরি ক্রটির মুখে পড়ে ডিএসই।