প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

তেলের মূল্য বৃদ্ধি: ব্যবসা অবনতির শঙ্কা উদ্যোক্তাদের

আনিসুর রহমান সুমন
০৮ আগস্ট ২০২২ ১৬:৪০:০৩ | আপডেট: ৩ years আগে
তেলের মূল্য বৃদ্ধি: ব্যবসা অবনতির শঙ্কা উদ্যোক্তাদের

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ছোট উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বড় উদ্যোক্তাদেরও খরচ বাড়বে। এর ফলে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন উদ্যোক্তারা। যেহেতু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বাড়তি খরচ সমন্বয়ের সুযোগ কম তাই তাদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা নিয়ে দ্য বিজনেস পোস্টের সঙ্গে কথা বলেছেন ফেসবুকের মাধ্যমে ছোট উদ্যোগ পরিচালনা করা চারজন উদ্যোক্তা।

ফেসবুকে অনলাইন খাবারের পেজ ভর্তা বাহার ও ফুড ক্যাটারিং এর সত্ত্বাধিকারী রুবাইদা রিয়াত রাখী।

তিনি বলেন,আমার রান্না করা খাবার পুরো ঢাকা শহরজুড়ে ,কখনো শহরের বাইরে সাভার,গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের দিকেও ডেলিভারি হয়। এর সবটাই মোটর সাইকেলের মাধ্যমে হয়। দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্বির কারণে এখন ডেলিভারি চার্জ আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দিতে হচ্ছে। এবং এ খরচ শুধুমাত্র আমাকে বহন করতে হচ্ছে। এতে করে কমছে লাভের পরিমাণ।

তেলের দাম বাড়ার পর বিক্রি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে আসছি। সিলিন্ডারের খরচ বাড়লেও বাড়াতে পারিনি খাবারের দাম। সুতরাং সবমিলিয়ে তেল বা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি আসলে কারোর জন্যই আশীর্বাদ নয়।

‘এক্সক্লুসিভ আ্যান্ড কর্ম্ফোটেবল’ পেজের প্রতিষ্ঠাতা সাফিয়া রুবি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে শুধু যে পরিবহন খরচ বেড়েছে তা নয়। আমরা যারা অনলাইন ব্যাবসায় জড়িত তাদের জন্যও ডেলিভারি চার্জ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ বেশিরভাগ ডেলিভারি ম্যান মোটরবাইকে পণ্য ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। তাই কাস্টমার ধরে রাখতে আমাদের লাভের পরিমাণ কমে যাবে এখন।

এছাড়া ডলারের দাম বাড়ার ফলে সারা বিশ্বে যে মূদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে তাতে করেও ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।যার ফলে ছোট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

‘দইওয়ালা’ ফেসবুক পেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. নাজির উদ্দিন বলেন, কুরিয়ার চার্জ ১০০ টাকারটা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা হয়েছে। বাস ভাড়া ৩০০ থেকে ৫০০ হয়েছে। ফলে অর্ডার কমেছে। সামনে আরও কমতে পারে।

কুরিয়ার চার্জ এবং বাস ভাড়া ভাড়ার ফলে বিক্রি ইতোমধ্যেই প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে বলে জানান তিনি।

নদীর তাজা মাছ নিয়ে কাজ করছেন আরেক উদ্যোক্তা হৃদয় মহসিন।

তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার ফলে আমার পরিবহন খরচ বেড়েছে প্রায় ১০-১৫ শতাংশ। এর ফলে চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় মাছ আনতে খরচ বেশি পড়ছে।

তবে এ সময়ে তার বিক্রিতে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি বলে জানান তিনি।

শুধুমাত্র ছোট উদ্যোক্তারাই নন তেলের দাম বাড়ার পর ‘চালডাল ডট কম’এর মতো বড় উদ্যেক্তারাও ইতোমধ্যে তাদের ডেলিভারি চার্জ প্রতি ডেলিভারিতে ১০ টাকা বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ গ্রোথ ওমর শরীফ।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। অকটেনের দাম বেড়েছে ৮৯ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা।