ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নব উদ্যোগে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। নতুন করে পথচলার শুরুতেই দেশজুড়ে থাকা ইভ্যালির লাখো গ্রাহক, ব্যবসায়ী এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে প্রতিষ্ঠানটি ‘ধন্যবাদ উৎসব’ আয়োজন করতে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসের ২৮ তারিখ রাত ১০টায় ‘ধন্যবাদ উৎসব’ শুরু করবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই উৎসবে ইভ্যালি থেকে কেনা যাবে দেশের নামীদামী আর বড় ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য। মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার এক্সেসরিজ, গৃহস্থালি সরঞ্জাম থেকে শুরু করে থাকছে পোশাক-জুতার মতো লাইফস্টাইল পণ্য।
এতে বলা হয়েছে, পিক অ্যান্ড পে, ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি; মূল্য পরিশোধের এই তিনটির যেকোনো একটি উপায় ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় এখন ইভ্যালি থেকে কেনাকাটা করা যাবে। ইভ্যালি থেকে কেনাকাটায় প্রতিটি অর্ডার ডেলিভারির জন্য একটি ‘স্টার’ পাবেন গ্রাহকেরা। অর্জিত স্টার ব্যবহার করে বিশেষ মূল্যছাড়ে কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন সময় চমকপ্রদ অফার দেবে ইভ্যালি।
ধন্যবাদ উৎসব সফল করার আহ্বান জানিয়ে ইভ্যালির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শামীমা নাসরিন বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে আমরা আমাদের অতীতের দেনা পরিশোধ করতে পারবো বলে জোরালোভাবে বিশ্বাস করি। ইভ্যালি এখন এমন একটা ব্র্যান্ড যা এই জাতির আবেগের সঙ্গে মিশে আছে। আমাদের এখন দুইজন স্বাধীন পরিচালক আছেন। একজন ই-ক্যাব থেকে এবং একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। কাজেই এখন আমরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আছি।’
শামীমা বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি এখন থেকে আমরা আর লসে পণ্য বিক্রি করব না। তবে ইভ্যালির গ্রাহকরা আকর্ষণীয় মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন না, তা নয়। আমরা বিশ্বাস করি ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ই-কমার্সকে ব্যবহার করে লাভ করে পণ্য বিক্রি করলেও, গতানুগতিক বাজারের তুলনায় গ্রাহকদের ‘বেস্ট প্রাইস’ দিতে পারবো আমরা। তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য ও গুণগত পণ্য সরবরাহ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কুইক ডেলিভারি এবং গ্রাহক সেবার দিকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইভ্যালিকে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ বান্ধব ই-কমার্স তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পূর্বের সকল অর্ডার ডেলিভারি করতে কাজ করে যাচ্ছি। ইভ্যালির হাত ধরে সম্ভাবনাময় এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে দেশের জিডিপি সমৃদ্ধি, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে অবদান রাখবে সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাব। আমাদের গতি বেগবান করতে ও ইভ্যালিকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের প্রাক্তন সিইও রাসেলের দ্রুত মুক্তি কামনা করছি।’
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ইভ্যালির মালিকদের বিরুদ্ধে কয়েকশ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। একজন ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল জামিন পান শামীমা।