প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির প্রস্তাব বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৪১:০০ | আপডেট: ৩ years আগে
নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির প্রস্তাব বাংলাদেশের

শীতকালে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা এবং গ্রীষ্মকালে দেশটি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রস্তাব দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমে নেপাল থেকে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারি। আবার শীত মৌসুমে যখন তাদের বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যায় তখন তারা আমাদের দেশ থেকে বিদ্যুৎ নিলে উভয়ই উপকৃত হবে।’

মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচমন্ত্রী পাম্পা ভুসালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেন এবং নসরুল হামিদ আট সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে নেপালে ৪৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।

২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য ও ক্লিন এনার্জির পরিমাণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জনে নেপাল ও ভুটানের সহযোগিতা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

পাম্পা ভুসাল নেপালের জলবিদ্যুতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।

নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে এবং ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে আসছে।

দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

নেপালের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে নেপালের জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. সুরেন্দ্র ল্যাব কর্ণ, নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব দেবেন্দ্র কার্কি উপস্থিত ছিলেন।