ভুটান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে ভুটানের সাথে প্রথম পিটিএ স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ, যা গত জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ হয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের এ্যাম্বাসেডর রিনচেন কুয়েন্টশিলের সাথে মতবিনিয়কালে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের এ্যাম্বাসেডর বলেন, ভুটান বাংলাদেশে কমলালেবু রপ্তানি করে থাকে। এখন ফলের মৌসুম। বাংলাদেশের আমদানিকারকদের এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করলে ফল আমদানি স্বাভাবিক থাকবে। ভুটান উন্নতমানের মিনারেল ওয়াটার রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশের বাজারে ভুটান মিনারেল ওয়াটার রপ্তানি করতে আগ্রহী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশকে ভুটান প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার সাথে তা সবসময় স্বরণ করে। ভুটানকে বাংলাদেশ সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে মেডিকেল, প্রকৌশল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন। বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি) বিশ্বমানের ডিগ্রী প্রদান করে আসছে। ভুটানে বাংলাদেশের আইসিএবি উন্নত ও আধুনিক হিসাব শিক্ষা পরিচালনা করতে পারে।
ভুটানের এ্যাম্বাসেডর বলেন, সোনাহাট স্থল বন্দর ভারত ও ভুটানের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বন্দর দিয়ে ভুটান ও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করলে বাণিজ্যসহজ হবে এবং উভয় দেশ উপকৃত হবে।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে ভুটানে ৯.৫৬ মিলিয়ন মর্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। একইসময়ে ৩৫.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।