পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এর সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় পুঁজিবাজারের অর্থপ্রবাহ বাড়াতে এ আহ্বান জানায় বিএসইসি। বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে স্থিতিশীলতা আনার জন্য বাজার মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকার উপর আলোচনা করা হয়।
আজ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে বিএমবিএ’র প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং এমএসআই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কমকর্তাসহ বিএমবিএ’র সভাপতি সায়েদুর রাহমান ও অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ।
এসময় পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় বিএমবিএ’র পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানসহ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:-
বিগত সময়ে শেয়ার বিক্রির ফলে অনেক বিনিয়োগকারীর হিসাবে অলস তহবিল পড়ে আছে, যারা বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এসব বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে পুনরায় বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর অনেক ইন-অ্যাকটিভ অ্যাকউন্ট আছে যাদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারের কর্মকর্তাগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিগত সময়ে কিছু সংখ্যক মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার নিজস্ব পোর্টফোলিও হিসাব থেকে কিছুটা বিক্রয় চাপে ছিল। ফলে তাদের হিসাবে বর্তমানে যতটুকু বিনিয়োগ যোগ্য তহবিল রয়েছে তা থেকে প্রত্যেক মার্চেন্ট ব্যাংকারদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে অন্ততপক্ষে ১০% নতুন বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে আনতে হবে।
দেশের পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীর তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অনেক কম। এ সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারগণকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।