তিনদিন লেনদেন বন্ধ থাকার পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার ভয়াবহ দরপতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে।
এদিন অধিকাংশ কোম্পানির দর কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৩৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স কমেছে ২১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৪০ পয়েন্ট।
তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডারদের বিক্রির চাপের কারণে ধসে পরে বাজার। দিনটিতে ৯১ শতাংশ সিকিউরিটিজের দর কমেছে। সূচকের ব্যাপক পতন হলেও বিক্রির চাপে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের কার্যদিবস থেকে বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, শেয়ার বাজারে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের ২৮ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ১৪১টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৪৮টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির।
অন্যদিকে, ব্যাপক পতনের কারণে এদিন ডিএসই'র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৯ মাস আগের অবস্থানে নেমে গেছে। অর্থাৎ ডিএসইর সূচক আবারও সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে চলে এসেছে।
এর আগে চলতি বছরের ৮ মার্চ ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে। আজ ১৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৩০ পয়েন্টে।
এদিকে বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, রিজার্ভে ডলার সংকট, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি দেউলিয়া ঘোষণার পাশাপাশি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ধরা পড়ায় পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাতে বাজারে প্যানিক সেল বেড়েছে। আর এই ইস্যুগুলোকে কাজে লাগিয়ে কারসাজি চক্র কম দামে শেয়ার কিনছে। আর বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
এদিন শীর্ষ দর পতনের মধ্যে রয়েছে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, তজিম উদ্দিন টেক্সটাইল, এসিআই ফরমুলেশন, আলহাজ টেক্সটাইল, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন হাউজিং এবং আইপিডিসি লিমিটেড।
এছাড়া সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয় বেক্সিমকো, জেএমআই হসপিটাল, আরডি ফুড, ফুওয়াং সিরামিক, এরআরবিসি ব্যাংক, ওরিয়ন ফর্মা, সালভো ক্যামিক্যাল, এসিআই ফরমুলেশন এবং লফার্জহোলসিম লিমিটেড।