প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

পেট্রোল-অকটেন নিয়ে গুজব: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ নভেম্বর ২০২১ ২০:৩৬:১১ | আপডেট: ৩ years আগে
পেট্রোল-অকটেন নিয়ে গুজব: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা

‘প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে’ এবং ‘অনেক ফিলিং স্টেশনে গিয়ে বাধ্য হয়ে বেশি দামে পেট্রোল ও অকটেন কিনতে হচ্ছে’- এ ধরনের বক্তব্য ভিত্তিহীন ও গুজব বলে উল্লেখ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার ‘পেট্রোল-অকটেন নিয়ে গুজব’ প্রসঙ্গে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক ব্যাখ্যায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) অধীন বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে দেশে অকটেন ও পেট্রোলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এ ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে অকটেন ও পেট্রোলের মোট মজুত ছিল ৫৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টনের অধিক। তদুপরি প্রতি বছরের ন্যায় চাহিদা অনুযায়ী বিপিসি'র আমদানি পরিকল্পনা ও আমদানিসূচি অনুসারে নভেম্বর মাসের একটি পার্সেলে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন অকটেন ইতোমধ্যে আমদানি করা হয়েছে এবং অপর একটি পার্সেলে ২০ হাজার মেট্রিক টনের অধিক অকটেন আমদানি করা হচ্ছে।

আগামী ডিসেম্বরে ৬৫ হাজার মেট্রিক টনের অধিক অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে ব্যাখ্যায় জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশী প্ল্যান্টগুলোতে অকটেন ও পেট্রোল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ আরো সুসংহত করবে।

দেশীয় উৎপাদন দ্বারা পেট্রোলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে জানিয়ে এ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, দেশে অকটেন ও পেট্রোলের মাসিক চাহিদার স্বাভাবিক গড় যথাক্রমে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমান মজুত, আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দ্বারা এই চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।

"প্রান্তিক বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে" এবং "অনেক ফিলিং স্টেশনে গিয়ে বাধ্য হয়ে বেশি দামে পেট্রোল ও অকটেন কিনতে হচ্ছে"– এসব বক্তব্য ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

এতে আরো বলা হয়, সরকার নির্ধারিত মূল্যের (ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অকটেন প্রতি লিটার ৮৯ টাকা এবং পেট্রোল প্রতি লিটার ৮৬ টাকা) অতিরিক্ত মূল্যে কোনোক্রমেই কোনো পেট্রোল পাম্প জ্বালানি তেল বিক্রয় করতে পারবে না।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, কেউ জ্বালানি তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে বা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রয় করলে সেই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।