বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য কোভিড-১৯ টিকা ক্রয় করার জন্য অনুদান প্রদান করেছে বিখ্যাত জার্মান ব্র্যান্ড কিক (KiK)।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) মাধ্যমে এই অনুদান প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অনুদানের এই অর্থ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গবার বিজিএমইএ'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে সামাজিক দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে এই অনুদান দিয়েছে কিক।
বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয় করা ছাড়াও বহু বছর ধরে বাংলাদেশের সামাজিক প্রকল্পগুলোর সাথে জার্মান প্রতিষ্ঠানটি যুক্ত রয়েছে এবং বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানও প্রতিষ্ঠা করেছে কিক।
অনুদানের পেছনের প্রেরণা ব্যাখ্যা করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক যাহন বলেন, “আমাদের বহু বছরের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ফল হিসেবে আমরা দেশটিতে, বিশেষ করে দেশটির পোশাক শিল্পে করোনা মহামারির প্রভাব নিয়ে অত্যন্ত সচেতন রয়েছি। এই শিল্পে কর্মীরা আবদ্ধ স্থানে কাজ করে, যেখানে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। আমি মনে করি, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় টিকা সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা দিতে পারবে। আমাদের এই অনুদান দিয়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কর্মীদেরকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সবচেয়ে ভালো পন্থায় সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা ভূমিকা রাখতে চাই।”
জার্মান ব্র্যান্ডের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন স্তম্ভ হিসেবে অবদান রাখছে। করোনা মহামারির প্রভাবে এই খাতটি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং এই ক্ষতি এখনও সামলে উঠতে পারেনি। এদেশের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের টিকা পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। জার্মান কোম্পানি কিক’কে এই মহৎ অনুদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তাদের এই অনুদান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের টিকাদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
এর আগে পোশাক শ্রমিকদের অর্থনীতির সম্মুখসারির যোদ্ধা বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাদান কর্মসূচীতে আনার জন্য সরকারকে অনুরোধ করে বিজিএমইএ।
অনুরোধের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের জুলাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের জন্য টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে সরকার, যা এখনও চলমান রয়েছে।
