অবশেষে শুল্ক বন্দর থেকে শতভাগ রপ্তানিকারকদের দ্রুত কার্গো ডেলিভারির সুবিধার্থে কেস-টু-কেস ভিত্তিতে ভ্যাট অব্যাহতির সনদ প্রদানের বাধ্যবাধকতার বিধান প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। তারা বলেন, এটি রপ্তানিমুখী শিল্পের ব্যবসাকে আরও সহজ করবে।
এনবিআরের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে বন্দর, ফ্রেইট-ফরোয়ার্ডার, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট, অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো এবং শিপিং লাইন থেকে সেবা গ্রহণের জন্য ভ্যাট অব্যাহতি সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে না।
এরই প্রেক্ষিতে মূসক সংক্রান্ত নীতি শাখা ১১ নভেম্বর একটি আদেশ জারি করে। যেখানে বেসরকারি অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো বা আইসিডিগুলির রপ্তানিকারক এবং অপারেটরদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিধানটি শিথিল করা হয়।
প্রথম সচিব (মূসক নীতি) কাজী ফরিদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত আদেশটি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে পূর্ববর্তী প্রভাব দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ অফ-ডক বা প্রাইভেট আইসিডি অপারেটরদের কাছ থেকে ভ্যাট-ছাড় সনদ ছাড়া কার্গো ছাড়ার বিরুদ্ধে প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন টাকা দাবি করার পর বিষয়টি আলোচিত হয়। ভ্যাট আইন অনুসারে, রপ্তানিকারকরা তাদের বন্দর পরিষেবাগুলোতে ভ্যাট প্রদান থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
যাইহোক, ২০১৯ সালের জুনে পাস হওয়া নতুন ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২, প্রতিটি রপ্তানিমুখী কোম্পানির জন্য ভ্যাট অব্যাহতির সনদ বাধ্যতামূলক করার বিধান আরোপ করে।
ভ্যাট কর্মকর্তাদের মতে, রপ্তানিকারকদের ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পেতে কাস্টমস, এক্সাইজ এবং ভ্যাট কমিশনারেট থেকে বাধ্যতামূলক সনদ নিতে হবে এবং বন্দর কাস্টমস বা প্রাইভেট আইসিডিতে পণ্য সরবরাহ করতে হবে।
কর্মকতারা আরও বলেন, তবে এখন থেকে, বন্দর কর্তৃপক্ষ, মালবাহী ফরওয়ার্ডার, বিমা কোম্পানি, শিপিং এজেন্টদের শতভাগ রপ্তানিমুখী কোম্পানির প্রমাণ হিসাবে প্রাসঙ্গিক নথির ভিত্তিতে ভ্যাট ছাড়ের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কর্তৃক দেয়া ভ্যাট-নিবন্ধন সনদ বা নথিপত্র, রপ্তানিকারক সমিতির সনদ কোনো কোম্পানিকে শতভাগ রপ্তানিমুখী হিসেবে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট হবে।