প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

বাংলাদেশের ঋণ নিয়ে আইএমএফের আলোচনা আগামী সপ্তাহে

শাহীন হাওলাদার, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে
১৪ অক্টোবর ২০২২ ২০:১৯:২৬ | আপডেট: ২ years আগে
বাংলাদেশের ঋণ নিয়ে আইএমএফের আলোচনা আগামী সপ্তাহে
সংগৃহীত

অথর্নীতিকে স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে যে বাজেটারি সহায়তা চেয়েছে, সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইএমএফের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের উপ-পরিচালক অ্যানে ম্যারি গোল্ড ওলফ।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ঋণ প্রসঙ্গে এ কথা জানান তিনি।

আইএমএফের আঞ্চলিক অর্থনীতিক পূর্বাভাস বলছে- রপ্তানি এবং প্রবাস আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখায় কিছু ঝুঁকি আছে বাংলাদেশের। এরপরও এবছর ৭ দশমিক ২ আর আগামী বছর ৬ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনের চর্তুথ দিনে আরেক সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, আগামী বছরে বিশ্বে মহামন্দা দেখা দিতে পারে। জ্বালানির চড়া দাম ও লাগামহীন মূল্যস্ফীতিতে সৃষ্টি হবে খাদ্য ঘাটতি।

এ সংকট থেকে মানুষকে বাঁচাতে সরকারগুলোকে সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

আইএমএফ বলছে, বিশ্বে ৪৮ টি দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ এখন চরম খাদ্য সংকটে রয়েছে। এর মধ্যে কোস্টারিকা, বসনিয়া ও রুয়ান্ডার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তার অর্থ কিন্তু এই নয় যে, এখন যে সব দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে, তাদের মন্দা স্পর্শ করবে না।

এর আগে রোববার (১০ অক্টোবর) ক্রিস্টিয়ানা জর্জিয়েভা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে বাজার যোগানের ঘাটতি ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। যার ফলে প্রতিটি দেশ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। এভাবে আগামী ৪ বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে খারাপ সময় যাবে। এ মন্দাভাবের কারণে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হবে তার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা জার্মানির মোট জিডিপির সমান। যা বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ সামলাতে না পারলে দরিদ্র দেশগুলোর মন্দাভাব আরও বাড়তে পারে। আগামীতে এ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।

এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ৩ বছর পর সশরীরে আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।