প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান অর্থমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৮:২১:০১ | আপডেট: ৩ years আগে
বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান অর্থমন্ত্রীর

বাংলাদেশি কর্মী ও পেশাজীবীদের আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয়ই বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগিতা সংক্রান্ত সম্ভাবনাকে আরও কাজে লাগাতে আগ্রহী।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত যৌথ কমিশনের (জেসি) ৫ম সভায় এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আলী আল সায়েঘের যৌথ সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুই দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর একটি ‘সম্মত কার্যবিবরণী’ স্বাক্ষরিত হয়। উভয় দেশের প্রতিনিধিদলের দলনেতা কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তী যৌথ কমিশন সভার তারিখ আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তীতে নির্ধারিত হবে, যা আবুধাবিতে আয়োজনের বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।

যৌথ কমিশন সভায় উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিষয় পর্যালোচনা করে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ১২টি বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে।

এগুলো হচ্ছে- দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন; জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও কনস্যুলার; বেসরকারি বিমান চলাচল, পর্যটন ও সাংস্কৃতি; বিনিয়োগ সংক্রান্ত; আবুধাবী উন্নয়ন ফান্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা বৃদ্ধি; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি; শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি; সামুদ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন; কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা; স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং মানবিক ও দাতব্য সহায়তা সংক্রান্ত সহযোগিতা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা পূর্ব গত এক দশক বাংলাদেশে গড়ে ৭.৪ শতাংশ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে পরিচিত। আশা করা যায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত দেশে পরিণত হবে।

তিনি আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে বাংলাদেশ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সংযুক্ত আরব আমিরাত অভিন্ন বিভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা ও সমর্থন পেয়েছে তা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতে খ্যাতি ও মর্যাদার সাথে সেবা প্রদান করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন সেক্টরে বিশেষ করে পেশাদার, দক্ষ, আধা-দক্ষ এবং অ-দক্ষ জনশক্তির জন্য এখনও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের বন্দর এবং বড় অবকাঠামোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ, তথ্য প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ, কৃষি, মহাকাশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, চিকিৎসা সেবা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পিপিপি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিল্প বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, উভয় দেশ একই সময়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। আমাদের উভয় সরকারই সেই পথ অনুসরণ করে।