দেশের শীর্ষ ঔষধ প্রস্তুতকারক স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বিএমআরইতে (ব্যবসা আধুনকায়ন ও সম্প্রসারণ) এক হাজার ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। গত চার বছরে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন, কারখান আধুনিকীকরণ এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে কোম্পানিটি এ বিনিয়োগ করেছে।
সর্বশেষ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গত বৃহস্পতিবার নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।
কোম্পনি সূত্রে জানা গেছে ২০১৯ সালে কোম্পানিটির বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো ২০০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে ২৫০ কোটি টাকা, ২০২১ সালে ৩০০ কোটি টাকা এবং চলতি বছরের জন্য এ বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকা।
স্কয়ার ফার্মার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা দ্য বিজনেস পোস্ট'কে বলেন, ‘বিনিয়োগ আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম এবং সম্প্রসারণ পরিকল্পনার একটি অংশ। আমরা বিনিয়োগ পরিকল্পনার জন্য আমাদের লাভের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বরাদ্দ করি। কারণ পুরনো যন্ত্রপাতিগুলোকে আপগ্রেড করতে হয়। এছাড়াও অগ্রগতির জন্য নতুন সরঞ্জাম প্রয়োজন।’
২০২১-২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ১৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা হয়েছে। পাশাপশি কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ দশমিক ৫১ টাকা। যা আগের বছর ছিলো ১৭ দশমিক ৯৯ টাকা।
বৃহস্পতিবার স্কয়ার ফার্মার পরিচালনা পর্ষদ জুন ২০২২- এ সমাপ্ত বছরের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যা কোম্পানিটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১১৬.৭০ টাকা। শেয়ার প্রতি একত্রিত নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ১৪.৫২ টাকা। যা গত অর্থবছরে ছিলো যথাক্রম ১০২.৫৪ টাকা এবং ১২.৩৮ টাকা।
গত অর্থবছরে স্কয়ার ফার্মা ৬০ শতাংশ নগদ ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
দেশের ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ওষুধের বাজারের ১৭ দশমিক ২০ শতাংশই স্কয়ার ফার্মার দখলে।
সিটি ব্রোকারেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির একটি শাক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি রয়েছে। স্কয়ার ফার্মার কেনিয়াতে তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে উল্লেখযোগ্য আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যার বাজার প্রায় বাংলাদেশের বাজারের সমান।
স্কয়ার ফার্মা বিশ্বের ৪২টি দেশে ঔষধ রপ্তানি করে। আফ্রিকান বাজারে কোম্পানিটি তার ১৫০টি পণ্য সরবরাহ করছে। আফ্রিকায় বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য কোম্পানিটি একটি ফর্মুলেশন প্ল্যান্ট তৈরি করবে এবং সেখানে স্থানীয় নির্মাতাদের জন্য নির্ধারিত ১৫ শতাংশ মূল্য রেয়াত সুবিধা পেতে সহায়তা করবে।
স্কয়ার ফার্মা ফার্মাসিউটিক্যালস, এগ্রোভেট, কীটনাশক, ভেষজ, পেলেট এবং রাসায়নিক খাতে ৮৮২ টি পণ্য নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি টাকা। রোববার কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ার দর ছিলো ২০৯.৮০ টাকা।