পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকায় আরও দুই-তিন দিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও মজুত ভালো ছিল। পেঁয়াজের দাম কম ছিল, কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিল। দাম বাড়বে এই আশায় মজুত করে রাখা পেঁয়াজ পচে গিয়েছিল। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেজন্য, এবছর পেঁয়াজের কী অবস্থা আমরা দেখতে চাচ্ছি।
তিনি জানান, কৃষকের কাছে, গুদামে ও আড়তদারের কাছে কী পরিমাণ পেঁয়াজ আছে, তা দেখতে গত দুই-তিন দিন মাঠ পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা খোঁজখবর নিয়েছেন। মাঠ থেকে তথ্য পেয়েছি যে, যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুত আছে। তবে দাম আরও বাড়বে- এই আশায় বাজারে বিক্রি করছে না। এছাড়া কেবলই পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়েছে। এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কথা না। সিন্ডিকেটের হাত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় মধ্যম আয়ের, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত চাষির স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি। কারণ, গতবছর কৃষকেরা দাম কম পাওয়ায় এবছর পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে প্রায় দুই লাখ টনের মতো। আমরা উচ্চপর্যায়ে, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করছি। গভীরভাবে বাজার পর্যবেক্ষেণ করছি। দুই-তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কিনা।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। তবে আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি, কীভাবে গুদামে রাখা যায়। যদি শেলফ লাইফ বাড়ানো যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।