দেশের পুঁজিবাজারে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মের বিনিয়োগ সীমা কমানোর পর থেকেই মূল মার্কেটে চলছে অব্যাহত দরপতন। সেই সাথে এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে বিদ্যমান চাঙ্গাভাব।
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি এসএমই প্লাটফর্মে বিনিয়োগের শর্ত শিথিল করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
সেসময় এক নির্দেশনায় বলা হয়, এসএমই মার্কেটে আসার জন্য পুঁজিবাজারে ২০ লাখ টাকার বিনিয়োগ লাগবে।
আরও পড়ুন- ব্যয় কমাতে উদ্যোগ নিলো রূপালী ব্যাংক
এর আগে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেন করার সুযোগ পেতেন বিনিয়োগকারীরা।
এ সিদ্ধান্তের পর ডিএসই'র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ইনডেক্স আজ পর্যন্ত কমেছে ৮৬৪.৮৫ পয়েন্ট। বিপরীতে এসএমই মার্কেটের সূচক ডিএসইএমক্স বেড়েছে ১৩৪৯.৬৬ পয়েন্ট। পাশাপাশি এ মার্কেটের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসইএমক্স সূচক ছিল ৬৩৪.০৪ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার এ সূচকটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৯৮৩.৭০ পয়েন্টে।
মূল মার্কেটে এসএমই'র প্রভাব নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। কারও মতে, এসএমই মার্কেটের ব্যাপ্তি এতটাই ছোট যে এটা মূল মার্কেটকে প্রভাবিত করার মতো শক্তিশালী নয়। আবার কেউ বলছেন এটা জুয়ার বাজার।
আরও পড়ুন- সূচকের পতনে লেনদেন সামান্য বেড়েছে
এ ব্যাপারে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ দ্য বিজনেস পোস্টকে বলেন, এসএমই মার্কেট একটি জুয়ার বাজার। এ বাজারের উদ্দেশ্য ছিল স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি। কিন্তু এটা না করে ওটিসির মৃতপ্রায় কোম্পানিগুলোকে এ মার্কেটে পুর্নবাসন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মূল মার্কেটের সাথে এ মার্কেটের সংশ্লিষ্টতা রাখা ঠিক নয়।
মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশিকুর রহমান দ্য বিজনেস পোস্টকে বলেন, এসএমই মার্কেটে খুবই অল্প সংখ্যক বিনিয়োগকারী লেনদেন করে থাকেন। সংখ্যাটা এতো কম যে এটা মূল মার্কেটের লেনদেনে তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু এ বাজারে স্বল্পসংখ্যক বিনিয়োগকারী লেনদেন করে থাকেন সেহেতু নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ডিএসই কর্তৃপক্ষের উচিত সার্কুলার ট্রেডের মাধ্যমে কারসাজি হচ্ছে কি না এ ব্যাপারে সচেতন থাকা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল করিম দ্য বিজনেস পোস্টকে বলেন, এসএমই মার্কেটের এ উত্থান মূল মার্কেটে কোন প্রভাব বিস্তার করছে কি না এ সংশ্লিষ্ট কোন রিসার্চ আমাদের নেই। তবে এ বাজারে যদি কোন কারসাজি হয়ে থাকে তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা অবশ্যই পদক্ষেপ নিবে।
এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত শেয়ার রয়েছে ১৩ টি। এর মধ্যে ৪ টি কোম্পানি ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট থেকে এসেছে। এছাড়া ৯ টি কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে (আইপিও) এ মার্কেটে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এসএমই মার্কেটে কোম্পানিগুলোর চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত দর বাড়ার হার (টাকায়)-
এছাড়াও আলোচিত সময়ে কৃষিবিদ ফিড লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ২৩ টাকা ১০ পয়সা।