রমজানে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও ফলের বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এবারের রমজানের প্রথম দিনেই দেশি ও আমদানি করা ফলমূলের দাম বেড়েছে।
রোববার রমজানের প্রথম দিনে রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে বিভিন্ন ফলের দামে অস্থিরতা দেখা যায়।
আমদানিকারকরা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি জাহাজ ভাড়া ও অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয় ফলমূলের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
রমজানে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ফল হচ্ছে খেজুর। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে চাহিদাসম্পন্ন এ ফলটির দামে ব্যাপক তারতম্য দেখা যায়।
খেজুরের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে এবং আমদানি করা এই ফল গুণমানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ১২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও পুরান ঢাকার খুচরা বাজারে আজোয়া খেজুর প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, দাব্বাস খেজুর ২৮০ টাকা, ক্কালমি খেজুর ৩০০ টাকা, ফরিদা খেজুর ২৮০ টাকা এবং বরই খেজুর ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও লিবিয়ার উন্নত মানের খেজুর ও মারিয়াম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ১২৫০ টাকায়।
এদিকে আমদানি করা আপেল মানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা, নাশপাতি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, ডালিম ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মাল্টা ১৬০ থেকে ২১০ টাকা, কমলা ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, আঙ্গুর ২০০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া দেশি ফলের মধ্যে পেয়ারা (থাই) প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কলা ডজন প্রতি ৬০ থেকে ১২০ টাকা, তরমুজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, আনারস প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা, আম (সবুজ) কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ এবং ড্রাগন ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রমজানে বিদেশি ফলের সরবরাহ স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফআইএ) সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, বেশি জাহাজ ভাড়া, বাংলাদেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে ফলের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।