প্রতিবছরই রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স অর্থাৎ প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এবারে অবশ্য রমজান শুরু আগেই প্রবাসী আয় অনেকটাই বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের হার কম থাকলেও মার্চে বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চলতি এপ্রিল মাসে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৪৯ কোটি ডলার। এক মাসের ব্যবধানে মার্চে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৮৬ কোটি ডলার (১.৮৬ বিলিয়ন ডলার)। দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৪.৪৫ শতাংশ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গেলো বছর মার্চে এখনের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২.৬৬ শতাংশ। তখন করোনার প্রভাব বেশি থাকায় অনেকে দেশে আসার সুযোগ পাননি। ফলে তারা অধিক পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।
এ ছাড়া রেমিট্যান্সে সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা এবং নতুন করে অনেকে বিদেশে যাওয়ায় এর প্রবাহ বেড়েছে। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৫২৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা)। এ সংখ্যা গত অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় ৩৩০ কোটি বা প্রায় ১৮ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন ছিল। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে দুই হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬.১০ শতাংশ বেশি ছিল। গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে সাত মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।