করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে সীমিত আকারে আর বৃহস্পতিবার থেকে 'সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
এই লকডাউনের মধ্যেও স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন খোলা থাকবে। একই সঙ্গে দেশের সব স্থলবন্দরও খোলা থাকবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের পরিচালক (তথ্য) সৈয়দ এ মুমেন শনিবার জানিয়েছেন; 'কিছুদিন আগে এনবিআরের কার্যক্রমকে জরুরি সেবার আওতায় আনা হয়েছে। তাই সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম সচল থাকবে।'
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে; চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর ও বিমানবন্দরের শুল্ক কার্যক্রমের পাশাপাশি সারা দেশে ৩০টির বেশি শুল্ক স্টেশন কার্যকর আছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য দিনের মতো লকডাউনেও এসব শুল্ক স্টেশন খোলা থাকবে। এ ছাড়া এনবিআরসহ অন্য মাঠপর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয় জনবল দিয়ে সেবা অব্যাহত রাখা হবে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে; লকডাউনের মধ্যে দেশের যে ১২টি স্থলবন্দর রয়েছে তার সবকটিই খোলা থাকবে। স্থলবন্দরগুলো হলো বেনাপোল, হিলি, সোনামসজিদ, ভোমরা, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী, তামাবিল, আখাউড়া, বিবিরবাজার, টেকনাফ, নাকুগাঁও ও সোনাহাট। এসব স্থলবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।