প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ নভেম্বর ২০২২ ২১:১৪:১০ | আপডেট: ২ years আগে
লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর লাইটার জাহাজের শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরপরই চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে।

শুক্রবার বন্দর ভবনে সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নৌযান শ্রমিকেরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নবী আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,‘বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ করা চায়নিজ ঘাট পুনরায় স্থাপন এবং চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমাদের ধর্মঘট আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে লাইটারেজ জাহাজগুলো যেকোনো স্থানে অবস্থান করতে পারবেন। চরপাড়া ঘাট ও চায়নিজ ঘাট ব্যবহারে শ্রমিকদের কোনো টোল দেয়া লাগবে না।’

নবী আলম আরও জানান, সভায় শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টিও মেনে নেয়া হয়। আর চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। ইজারা বাতিল একটি প্রক্রিয়া। এটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ইজারাদারদের টোল না নেওয়ার জন্য সভা থেকে বলে দেয়া হয়েছে। এখন লাইটার শ্রমিকদের ঘাট পারাপারে কোনো টোল দিতে হবে না।

বন্দরের চরপাড়া শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু করেন লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকরা। এতে বন্দরের বহিঃনোঙ্গর থেকে সারাদেশে আমদানি পণ্য পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আজ যেসব জাহাজ পণ্যবোঝাই করে গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সেগুলো যেতে পারেনি। আবার কর্ণফুলী নদীর বেসরকারি ঘাটগুলোতেও লাইটারেজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেন নৌযান শ্রমিকরা। তবে জ্বালানি পরিবহন ধর্মঘটের বাইরে রাখা হয়।

শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের অপসারণ, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারণ, চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, সাঙ্গু নদীর মুখ খনন এবং লোড ও খালি লাইটার জাহাজ বহিঃনোঙ্গরে সার্ভে করা।