পুঁজিবাজারে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং প্লাটফর্মের (এটিবি) কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হবে।
দ্য বিজনেস পোস্ট'কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের. ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, এটিবি মার্কেট চালু করার জন্য যে প্রস্ততি দরকার ছিল তা নেয়া হয়েছে। এ মার্কেট চালু করার জন্য আমরা এখন সার্বিক ভাবে প্রস্তুত।
বিএসইসি থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ মার্কেটের লেনদেন শুরু হবে বলে জানা গেছে।
অতালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বন্ড, সুকুক এবং ওপেন অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন করা যাবে এটিবি বোর্ডে।
শামসুদ্দিন আরও জানান, এ বোর্ডে তালিকাভুক্ত প্রোডাক্টগুলোর সার্কিট ব্রেকার হবে ৫ শতাংশ। অর্থাৎ এটিবি বোর্ডে লেনদেন করা অতালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বন্ড, সুকুক এবং ওপেন অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডের দাম ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারবে।
বিলুপ্ত ওটিসি মার্কেটের ১৮ টি কোম্পানি এটিবি মার্কেটে লেনদেন হবে। কোম্পানিগুলো হলো- বাংলা প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিজ, ড্যান্ডি ডাইং, ডায়নামিক টেক্সটাইল, মেটালেক্স করপোরেশন, মিতা টেক্সটাইল, মডার্ন সিমেন্ট, মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ, মোনা ফুড প্রোডাক্টস, পারফিউমস কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রেট্রো সিনথেটিক্স প্রোডাক্টস, ফর্মাকো ইন্টারন্যাশনাল, কাশেম সিল্ক মিলস, কাশেম টেক্সটাইলস মিলস, রাসপিট ইনকর্পোরেশন বিডি, , রোজ হ্যাভেন বলপেন, সালেহ কার্পেট মিলস, শ্রীপুর টেক্সটাইল মিলস এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।
২০০৯ সালে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে ওটিসি মার্কেট চালু করা হয়। উৎপাদনে না থাকা, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, কাগুজে শেয়ার ডিমেট না করা, নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়া, লভ্যাংশ প্রদান না করা এবং সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পরিপালন না করা কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেট থেকে ওটিসিতে শাস্তি স্বরূপ স্থানান্তর করা হয়েছিল।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ওটিসি মার্কেটের কার্যক্রম অকার্যকর করে।