মোহাম্মাদ নাহিয়ান
সরবরাহ বৃদ্ধি ও ভোক্তাদের মধ্যে চাহিদা কম থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম আরও কমেছে।
সোমবার ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪৩ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহে ১৪৭ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
এর এক সপ্তাহ আগে যে সোনালী মুরগি ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, সেটি এখন ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এর দাম ছিল ২৯০ থেকে ২৯৫ টাকা। পরে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় এর দাম বেড়ে যায়।
মিরপুর-১ এর আল বারাকা চিকেন হাউসের মো. জসিম জানান, চাহিদা কম থাকায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম কমছে।
সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে সয়াবিন তেল এবং শাকসবজির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কয়েকজন গ্রাহক তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন দ্য বিজনেস পোস্টে'র কাছে।
বাজারে শীতকালীন সবজি পাওয়া গেলেও এর দাম বেশি বলে দাবি করেন তারা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর রান্নাঘরের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সোমবার দেশীয় পেঁয়াজে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, আর ভারতীয় পেঁয়াজে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
গত ১৭ নভেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বেশি থাকলে বাংলাদেশে পণ্যের দাম কমবে না।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ৩ নভেম্বর থেকে ট্রাকের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। ছুটির দিন ব্যতীত এটি চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
টিসিবি সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা কেজি, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।
এতে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকা এবং মসুর ডালের দাম ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৭ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৩ টাকা বাড়িয়েছে।
এছাড়া এখন বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৭৬০ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম তেল ১১৮ টাকা।
১৪ সেপ্টেম্বর সরকার পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে এবং স্থানীয় বাজারে দুটি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল করতে চিনির উপর ১০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো প্যাকেটজাত ও খোলা চিনির নতুন দাম নির্ধারণ করে সরকার।
প্রতি কেজি খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ টাকা, যা বাজারে ৮০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ৭৫ টাকা, যা ৮৫ টাকা।