দেশের পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করার পর থেকে থামছে না মূল মার্কেটের পতন। তবে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর বাজার (এসএমই) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে রয়েছে চাঙ্গাভাব।
বৃহস্পতিবার ডিএসই'র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমলেও এসএমই মার্কেটের সূচকটি গতকালের তুলনায় ৪৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ২.২৭ শতাংশ বেড়ে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল। আজ এ সূচকটি ২২৪৪.৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি এসএমই প্লাটফর্মে বিনিয়োগের শর্ত শিথিল করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। সেসময় এক নির্দেশনায় বলা হয়, এসএমই মার্কেটে আসার জন্য পুঁজিবাজারে ২০ লাখ টাকার বিনিয়োগ লাগবে।
এর আগে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেন করার সুযোগ পেতেন বিনিয়োগকারীরা।
এ সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত এসএমই প্লাটফর্মে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল প্রায় ১৭ কোটি টাকা। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর অর্থাৎ চলতি বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত এর পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি টাকা। সে হিসেবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ২৮ জুলাই থেকে এসএমই বোর্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে সর্বনিম্ন বিনিয়োগসীমা ২০ লাখ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। যদিও পুরাতন বিনিয়োগকারীরা এ শর্ত বাস্তবায়নে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় পান।
এ ব্যাপারে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ দ্য বিজনেস পোস্টকে বলেন, এসএমই মার্কেট একটি জুয়ার বাজার। এ বাজারের উদ্দেশ্য ছিল স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি। কিন্তু এটা না করে ওটিসির মৃতপ্রায় কোম্পানিগুলোকে এ মার্কেটে পুর্নবাসন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মূল মার্কেটের সাথে এ মার্কেটে বিনিয়োগের শর্ত হিসেবে মূল মার্কেটে যে বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা রাখা ঠিক নয়।
এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত শেয়ার রয়েছে ১৫ টি। এর মধ্যে ৫ টি কোম্পানি ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট থেকে এসেছে। এছাড়া ১০ টি কোম্পানি কিওআই ইনভেস্টর
অফারের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
আরো দুটি কোম্পানি ওটিসি মার্কেট থেকে এসএমই মার্কেটে শিগগিরই তালিকাভুক্ত হবে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম এসএমই মার্কেট চালু হয়।