প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

অটোমেশনের আওতায় এলো বেনাপোল বন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৩০:০৯ | আপডেট: ৩ years আগে
অটোমেশনের আওতায় এলো বেনাপোল বন্দর

দীর্ঘ দুই যুগ পর অটোমেশনের আওতায় এলো বেনাপোল স্থলবন্দর। সর্বশেষ দুই বছর ধরে পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের পর বন্দরের অটোমেশন সেবা পূর্ণাঙ্গ রূপ নিয়েছে।

সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অটোমেশন কার্যক্রমের সুফল পেতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।

১৯৭২ সালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে প্রথম শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রথম ধাপে নিরাপদ বাণিজ্য নিশ্চিত করতে বেনাপোল কাস্টম হাউসে শুরু হয় অটোমেশন পদ্ধতি। তবে বন্দরে অটোমেশন না থাকায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বন্দরের সব কার্যক্রম চালু থাকায় নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে বন্দরের কার্যক্রম।

ব্যবসায়ীদের দাবিতে বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১৯ সালে জুন মাসে বেনাপোল বন্দরে শুরু হয় পরীক্ষামূলক অটোমেশন কার্যক্রম। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বন্দরে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন সেবা চালু হয়। এসময় বন্দরের প্রশাসনিক ভবন, রাজস্ব দপ্তর, এন্টি শাখা, কার্গো শাখাসহ বিভিন্ন স্থানে অটোমেশন পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হয়।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অটোমেশনের সাথে বন্দরের অটমেশনের কানেকটিভিটি দেয়ায় আমদানিকৃত পণ্য বন্দরে প্রবেশ থেকে শুরু করে রাজস্ব পরিশোধ পর্যন্ত সবধরনের তথ্য নজরদারিতে থাকছে কর্তৃপক্ষের। ব্যবসায়ীরাও ঘরে বসে তাদের পণ্যের অবস্থান ও খালাস প্রক্রিয়া জানতে পারছেন অনলাইনে।

আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর এলাকায় প্রবেশের পর ডিজিটাল স্কেলে পণ্যের সঠিকতা নিরূপণ, ট্রাকের অবস্থান, বন্দরের শেডে পণ্য আনেলোডের স্থান ভারতীয় খালি ট্রাক ফিরে যাওয়ার যাবতীয় তথ্য অটোমেশনের আওতায় থাকেছে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। আমদানি বাণিজ্য থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় সরকারের। বন্দরে সিসি ক্যামেরা ও অটোমেশন চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, দীর্ঘদিন পর হলেও বেনাপোল বন্দরে প্রথম অটোমেশনে চালু হলো। এতে করে বাণিজ্যে স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। ইন্টারনেটে গুগলক্রমে আমদানিকৃত পণ্যের মেনিফেস্ট নম্বর এন্ট্রি দিয়ে বন্দরের ওয়েভ অ্যাড্রেসে গেলেই তার পণ্যের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারবেন আমদানিকারকরা।