প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের দাবি বিবেচনাযোগ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ জুন ২০২২ ১৭:৫৬:২২ | আপডেট: ৩ years আগে
অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের দাবি বিবেচনাযোগ্য

প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরে অপ্রদর্শিত অর্থকে অর্থনীতির মূল স্রোতে আনার লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব বিবেচনাযোগ্য বলে মনে করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

বুধবার পুঁজিবাজারের প্রক্ষিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট শীর্ষক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) যৌথভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এতে মূল প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান। 

গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। ওই বাজেটে পুঁজিবাজারের প্রাপ্তি ও করণীয় সম্পর্কে পর্যালোচনার জন্য বিএমবিএ ও সিএমজেএফের যৌথ উদ্যোগে ওই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

মূল উপস্থাপনায় বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানান। এটা করা হলে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানিগুলো আসতে তেমন আগ্রহী নন। তাদেরকে আগ্রহী করে তুলতে তালিকাভুক্তিতে কর ছাড় দেয়া প্রয়োজন। অতীতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারে ১০ শতাংশ ব্যবধান ছিল। এবারের বাজেট প্রস্তাবনায় দুই ধরনের কোম্পানির কর হারের ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে । এটি ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহিত করবে। কারণ একটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে অনেক কমপ্লায়েন্স পরিপালন করতে হয়, যার ফলে তাদের ব্যয় বেড়ে যায়। ফলে সাড়ে ৭ শতাংশ কর ছাড় আর তেমন আকর্ষণীয় মনে হয় না। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারে পার্থক্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ রাখার দবি জানান ছায়েদুর রহমান। 

মো. ছায়েদুর রহমান পুঁজিবাজারে ৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের দাবি জানান।

বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট করহারের পাশাপাশি তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটের (মূল্যসংযোজন কর) হারেও ব্যবধান রাখার প্রস্তাব করেন। তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানান। এখন তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত উভয় ধরণের প্রতিষ্ঠানকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়।

তিনি ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ বিতরণের সময় কেটে রাখা আয়করকে (উৎসে কর) তার চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করা, মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন।