মার্জার অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন আইন সংশোধনের জন্য খসড়া করা হয়েছে। এই আইন প্রণয়ন হলে বেসিক ব্যাংকের প্রস্তাব অনুযায়ী পদ্মা ও বেসিক ব্যাংক একীভূত করা হবে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মার্জার আইন ও পলিসি সংশোধন এবং পদ্মা ও বেসিক ব্যাংক মার্জার করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মার্জার হবে। এখন আইন মোটামুটি ড্রাফট হয়ে গেছে। আমরা এগুলো সংসদে নিয়ে আসব। সেখান থেকে হয়ে যাওয়ার পর মার্জার কার্যক্রম শুরু হবে।
বেসিক ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক মার্জ হওয়ার চিন্তা করছেন কিনা সুনির্দিষ্টভাবে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি এখনও আবেদনটি পাইনি। তবে পদ্মা ব্যাংকের বিষয়টি অবশ্যই জানা আছে। পদ্মা ব্যাংকের মালিকানায় রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক সবগুলো জড়িত আছে। সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতাসহ সব ব্যাংকে পদ্মা ব্যাংকের শেয়ার আছে। সেভাবে ব্যাংকটি পরিচালিত হচ্ছে। ওই ব্যাংকের বোর্ড আছে জনতা, সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক।
পদ্মা ব্যাংকের প্রস্তাব বিবেচনা করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই প্রস্তাব বিবেচনা করতে পারেন। তবে আগে আইন পরিবর্তন হতে হবে। আইন বলবত হলে তখন অবশ্যই আমরা করবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে যারা পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা ব্যাংকটিকে ভালোভাবে চালাতে পারেননি। সেখানে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। কতটা দুর্নীতি হয়েছে আমরা সেটা জানতে পারিনি। কারণ যারা অন্যায় করেছে, প্রাথমিক যে স্টেটেমেন্ট ছিল এবং আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি তার ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে এবং তারা জেলে আছে। এছাড়া সরকারের কি করার আছে। যারা অন্যায় করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় চলতে হবে। এখন ব্যাংকটিতে যারা শেয়ারহোল্ডার এবং গ্রাহক আছে তাদের স্বার্থ আমাদের দেখতে হবে। সে জন্য ব্যাংকটি যাতে বন্ধ না হয়ে যায়। এ ব্যাংকটিকে চলমান রাখার জন্য রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসছে সহযোগিতা করতে।
বিদেশি বড় বিনিয়োগ আনার জন্য চিঠি দিয়েছে। আবার মার্জারের জন্য আবেদন করেছে। মন্ত্রী বলেন, পদ্মাব্যাংক সরকারের কাছে কোন আবেদন দিলেও আমি পাইনি। আর সবাই চেষ্টা করতে পারে বিদেশ থেকে টাকা আনার জন্য, এটা উম্মুক্ত। বিদেশিরা পদ্মা ব্যাংকের ব্যালেন্সশীট দেখে বিনিয়োগ করবে। পদ্মা ব্যাংক যেহেতু আছে সেহেতু বিদেশি কেন পারবে না। তবে পদ্মা ব্যাংককে বিনিয়োগ পেতে কমপ্লায়েন্স থাকতে হবে।