প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

আগস্টেও কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:৩৭:১৯ | আপডেট: ৩ years আগে
আগস্টেও কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

ইব্রাহীম হুসাইন অভি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে কমছে। গত আগস্টে ৩.২৭ শতাংশ কমে রেমিট্যান্স প্রবাহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এ নিয়ে টানা চতুর্থ মাসের মতো রেমিট্যান্স কমতির ধরা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, আগস্ট মাসে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের মাসের চেয়ে ৩.২৭ শতাংশ কম। চলতি বছর জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১.৮৭ বিলিয়ন ডলার।

রেমিট্যান্সের নিম্নমুখি প্রবণতা শুরু হয় বছরের শুরুতেই। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ নেমে আসতে শুরু করে এবং প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ১.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে; যা ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২.০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপর মার্চ পর্যন্ত এ অবনতি অব্যাহত ছিল।

তবে এপ্রিলে আবারও রেমিট্যান্স প্রবাহ ঘুরে দাঁড়ায়। ওই মাসে ২.০৬ বিলিয়ন ডলার এবং এর পরবর্তী মে মাসেই তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২.১৭ বিলিয়ন ডলারে।

এসময় রেমিট্যান্স প্রবাহ ফিরে আসার প্রধান কারণ ছিল ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। কারণ ঈদ উদযাপন উপলক্ষে প্রবাসীরা সাধারণত তাদের পরিবারের জন্য বেশি পরিমাণ টাকা পাঠিয়ে থাকেন।

এরপর জুনে আবারও কমে আসে রেমিট্যান্স প্রবাহ, যা জুলাই এবং আগস্ট মাসজুড়ে অব্যাহত ছিল।

এই নেতিবাচক প্রবণতা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসীরা বাড়িতে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে অবৈধ মাধ্যম (আত্মীয়-স্বজন, হুন্ডি) ব্যবহার করায় রেমিট্যেন্স প্রবাহ কমছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসাইন দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, গত বছর প্রবাসীরা বৈধ পন্থায় দেশে টাকা পাছিয়েছেন। একইসঙ্গে করোনা মহামারির কারণে তাদের দেশে ফিরে আসতে হতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল। এজন্য তারা তাদের সঞ্চিত টাকা দেশে পাঠিয়ে দেন। এসব কারণেই গত বছর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ বেড়েছিল।

এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি পরিস্থিতি উন্নতির পর যাতায়াত যখন শুরু হয়, তখন আবারও অবৈধ মাধ্যমগুলো চালু হয় এবং সেসব মাধ্যম ব্যবহার করে প্রবাসীরা টাকা পাঠাচ্ছেন। এর ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।

বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে মেমিট্যান্স প্রবাহ রেকর্ড পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪.৭৭ বিলিয়ন ডলারে, যা এর আগে অর্থবছরে ছিল ১৮.২০ বিলিয়ন ডলার। 

অবৈধ পথে টাকা পাঠানো রোধ করতে রেমিট্যান্সের উপর প্রবাসীদের ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।