প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

আয়কর আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩০:২১ | আপডেট: ২ years আগে
আয়কর আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে আয়কর আইন-২০২৩ এর খসড়া অনুমোদন করেছে। এই আইনে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে আয়কর কর্মকর্তার কর নির্ধারণের ক্ষমতাকে রোধ করা হয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন।

খসড়ার মূল বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আয়কর কর্মকর্তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী আয়কর নির্ধারণ করতে পারবেন না এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত সূত্র অনুযায়ী আয়কর নির্ধারণ করা হবে।

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম ছিল সামরিক শাসনের সকল আইন এবং ইংরেজীতে যেসব আইন আছে সেগুলো পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করা। সে কারণেই অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এই আইনের খসড়া তৈরি করেছে বলে জানান মাহবুব।

প্রকৃতপক্ষে, ইংরেজিতে বিদ্যমান আইনটিকে বাংলায় রূপান্তরিত করা হয়েছে এবং কিছু সংযোজন সহ সরলীকৃত করা হয়েছে। এছাড়া কিছু জটিল ও অস্পষ্ট ভাষা বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া আইনে আয়কর কর্মকর্তার বিবেচনার ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই আইনে ৩৪৮টি ধারা রয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা সহজেই তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।’

করদাতাদের তাদের কর নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য এই আইনে একটি গাণিতিক সূত্র চালু করা হয়েছে। এর ফলে করদাতারা সহজে তাদের কর পরিশোধ করতে পারবেন।

এই আইন করদাতাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে সাহায্য করবে।

এছাড়া এজেন্সি টু ইনোভেট (A2i) আইন-২০২২ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মাহবুব বলেন, আইন অনুসারে, তথ্য প্রযুক্তি খাতে সরকারের উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য একটি সংস্থা গঠন করা হবে। এটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং এর বাস্তবায়নে কর্মসূচি গ্রহণে সহায়তা করবে। সংস্থাটি ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে গঠিত হবে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন, যা স্বায়ত্তশাসিত হবে।

তিনি বলেন, ‘এছাড়াও, সংস্থাটি একটি নীতিমালা তৈরি করবে এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে।’

মাহবুব আরও বলেন, ‘২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভার গৃহীত প্রায় ৬৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই সময়ে মন্ত্রিসভার ছয়টি বৈঠকে ৯০টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং ৬১টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং বাকি ২৯টি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চলছে।

এই সময়ের মধ্যে, মন্ত্রিসভা দুটি নীতি এবং ১১টি চুক্তি বা প্রোটোকল অনুমোদন করেছে।