প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

আস্থার সংকটে ই-কর্মাস, ব্যবসায় ভাটা

০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:২৭:০৪ | আপডেট: ৩ years আগে
আস্থার সংকটে ই-কর্মাস, ব্যবসায় ভাটা

মিরাজ শামস

সম্প্রতি কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় পুরো খাত এখন আস্থার সংকটে ভুগছে। এর ফলে উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে থাকা এই ব্যবসা খাতে এখন ভাটা পড়েছে।

চমক অফারে ক্রেতা আকর্ষণে অস্বাভাবিক ডিসকাউন্ট দিয়ে বিতর্কিত মডেলের ব্যবসা করেছে কিছু প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি ক্রেতার সচেতনতার অভাব ও তদারকিতে ঘাটতিসহ নানা কারণে এ খাতে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে খাতের ভাল কোম্পানিগুলো এখন ব্যবসা হারাচ্ছে।

দেশে ই-কমার্সের ব্যবসায় গত এক যুগে গতি এসেছে, আর গত পাঁচ বছরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এ ব্যবসা। করোনা মহামারিকে কাজে লাগিয়ে গত দেড় বছরে এ খাত অনেক বেশি বিকশিত হয়। করোনায় এ খাতে ২০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। গত বছর এ খাতে পণ্য বেচাকেনা বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ।

গত বছর দেশের ই-কমার্স বাজার প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়। করোনা পরিস্থিতি অব্যহত থাকায় চলতি বছর শেষে আশা করেছে ২২ হাজার কোটি টাকা হবে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে এই বাজার ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হওয়ার আশা করছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে এ ব্যবসার প্রবৃদ্ধি তো দূরের কথা উল্টো গত তিন মাস ধরে আস্থা সংকটে পিছিয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে এ ব্যবসায় বড় বিপর্যয় আসতে পারে। এ অবস্থায় সরকার কঠোর পদক্ষেপে সংকট উত্তরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ১৬টির বেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারছে না। সরবরাহকারীদের পাওনাও পরিশোধ করতে পারছে না। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান অফিস বন্ধ রেখেছে। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এতে ই-কমার্স খাতের জনপ্রিয়তায় কমেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় লাখ লাখ ক্রেতা হওয়ার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নানা আকর্ষণীয় অফার। ডিসকাউন্ট বা সাইক্লোন অফারের নামে ২০ শতাংশ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার। শতভাগ টাকাও পাচ্ছেন, আবার পণ্যও পাচ্ছেন। এমন অবিশ্বাস্য অফারে ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। এর পরেই পণ্য না পাওয়ার অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে। এতে সম্ভাবনাময় ই-কমার্স খাতের ভালো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানও বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যাপক ডিসকাউন্টের ফাঁদে দেশের প্রায় পাঁচ লাখ লোকের ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা আটকা পড়েছে। এর মধ্যে ক্রেতা আছেন আড়াই থেকে ৩ লাখ। আর সরবরাহকারী রয়েছেন দেড় থেকে ২ লাখ। আট থেকে ১০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বেশিরভাগ গ্রাহকের টাকা আটকা পড়েছে। এর মধ্যে ইভ্যালি নিজেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে স্বীকার করেছে, তাদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকা মোট পাওনা রয়েছে।

ধামাকা ডটকমের সরবরাহকারীরা বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে এক চিঠিতে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির কাছে তারা ২০০ কোটি টাকা পাবেন। ই-অরেঞ্জের ক্রেতারা পাওনা টাকা ও পণ্যের দাবিতে রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করেছেন। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দ্বিগুণ হওয়া এবং সেই টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে কম দামে পণ্য কেনার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবসা করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। তাদের বিরুদ্ধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া দালাল প্লাস, শ্রেষ্ঠ ডটকম এবং ফাল্গুনী শপের বিরুদ্ধেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। এ রকম আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের পাওনা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ থাকা আলেশা মার্ট, ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদীনের প্রদীপ, কিউকম, বুমবুম, আদিয়ান মার্ট ও নিডডটকমডটবিডি এই ৯ ই-কমার্স কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক পরিস্থিতির তথ্য চেয়ে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে ক্রেতা ও মার্চেন্টদের কাছে কোম্পানিগুলোর মোট দায়ের পরিমাণ এবং কোম্পানিগুলোর চলতি ও স্থায়ী মূলধনের পরিমাণসহ কোম্পানিগুলো অনত্র অর্থ স্থানান্তর করেছে কি না, এসব তথ্য চেয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান বলেন, ই-কমার্স খাতে ব্যবসার বেশ প্রসার হয়েছে। এই সময়ে কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার মডেলের কারণে পুরো খাতে এক ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। এতে ই-কমার্স ব্যবসা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছ থেকে অনেক টাকা আগাম নিয়েছে। এখন চেষ্টা চলছে গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। যেসব প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কার্যক্রম করেছে তাদের সম্পদের হিসাব ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আগামীতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে আগাম পরিশোধ, সময়মতো পণ্য সরবরাহ, লেনদেন প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করতে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ই-কমার্সের প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে। এই পরিস্থিতির উন্নয়নের ই-ক্যাবসহ খাত সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ সবাইকে নিয়ে কাজ করছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ই-কমার্সের জন্য দেশে আলাদা কোনো আইন নেই। ২০১৮ সালে জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা কার্যকর হয়। এর আগে এ খাত পরিচালনার কোনো নীতিমালা ছিল না। গত মাসে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নতুন এই নির্দেশিকায়, একই শহরের ভেতরে পাঁচ দিনের মধ্যে এবং ভিন্ন শহর বা গ্রামের ক্ষেত্রে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়া এবং সময়মত পণ্য ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হলে ১০ দিনের মধ্যে মূল্য ফেরত দেওয়ার বিধান রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে অনেক সমস্যা সমাধান হবে।

ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো টাকা জমা না নিতে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, পণ্য বা সেবা ক্রয়ের বিপরীতে ই-কমার্স কোম্পানির ব্যাংক একাউন্টে গ্রাহকদের থেকে অগ্রিম অর্থ জমা নেওয়া যাবে না। দেশের শিডিউলড ব্যাংকগুলোয় থাকা বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানির একাউন্টে লেনদেনের ঝুঁকি কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এ নির্দেশ দিয়েছে।

এছাড়া ই-কমার্স খাতে স্থিতিশীলতার জন্য ই-ক্যাব বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে ১৬টি কোম্পানিকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্রেতাকে সেবা দিতে না পারার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সংগঠনটি। ই-অরেঞ্জ, ২৪টিকেটি ডটকম, গ্রিনবাংলা ডটস্পেস ও এক্সিলেন্টবিগবাজার ডটকমের বিরুদ্ধে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা চালানোর অভিযোগে সদস্য পদ বাতিত করেছে ইক্যাব। এদিকে এ পর্যন্ত মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ২ শতাংশ মানুষ ই-কমার্সে কেনাকাটা করেন। ছোট-বড় মিলিয়ে দুই হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ফেসবুক পেজ খুলে ব্যবসা করছে আরও ৫০ হাজার লোক। বর্তমানে অর্ডার সরবরাহ হচ্ছে দৈনিক গড়ে দুই লাখের বেশি। প্রচলিত ধারার বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ই-কমার্স চালু করছে। এখন খাতের সংকট চলছে। এটি কাটাতে সরকারের সহযোগী হিসাবে যৌথভাবে কাজ করছে এ সংগঠন।

সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কোম্পানির কারণে ই-কমার্সে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ভালো কোম্পানির উপর। আগের চেয়ে এখন ব্যবসা কমেছে। এ বিষয়ে নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে কোন কোম্পানি এমন পরিস্থিতি তৈরির সাহস না পায়। তিনি বলেন, ই-ক্যাব সদস্য কোম্পানিগুলোকে পর্যবেক্ষণ করছে। এর মধ্যে কিছু কোম্পানিকে নোটিশ দিয়ে সকর্ত করা হয়েছে। আবার সদস্য পদ স্থগিত করে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার কাউকে সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।

ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, অনলাইন বেচাকেনায় চলমান পরিস্থিতিরি প্রভাব পড়েছে। তবে করোনাকালে নিরাপদে কেনাকাটার জন্য অনেক ক্ষেত্রে ই-কমার্সে বিকল্প নেই। তাছাড়া আস্থা সংকট কাটিয়ে উঠে পরিস্থিতি ঘুড়ে দাড়াবে বলে আশা করছেন। তিনি বলেন, সাময়িক সংকট কেটে গেলে করোনার কারণে অনলাইন বেচাকেনার বাজার ২২ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। কারণ, কারোনা আগে পণ্য কেনার প্রতিদিন ৪০ হাজার অর্ডার এসেছে। করোনার মধ্যে এখন প্রতিদিন আড়াই লাখ অডার পাচ্ছেন ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, চাহিদার পণ্য বা টাকা না পেয়ে অনেকেই এখন দ্বারস্থ হয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত ১৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকরা ১৩ হাজার ৩১৭টি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই নির্ধারিত সময়ের দুই থেকে তিন মাস পরও পণ্য বুঝে না পাওয়া নিয়ে। এর বাইরে 'চেক ডিজঅনার' হওয়া, 'রিফান্ডের' টাকা ফেরত না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

আজকের ডিল ডটকমের সিইও একেএম ফাহিম মাসরুর বলেন, কয়েকটি ই-কমার্স কোম্পানি আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে ব্যবসা করেছে। ফলে গত তিন মাস ধরে ই-কমার্স ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে ভাল কোম্পানি থেকে যেসব ক্রেতা পণ্য কিনেছেন তারা আস্থা নিয়ে আছেন। কিন্তু নতুন ক্রেতা আনা খুব কঠিন হয়েছে। তারা কেউ প্রতারণার শিকার হয়েছে। আবার আতংকিত আছেন অনেকে। এতে অনলাইন বাজারে ভাটা পড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এ খাতে প্রবৃদ্ধি থাকলেও গত তিন মাস ধরে কমছে। ক্রেতার আস্থা কমায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হলে ই-কমার্স আবার ঘুড়ে দাড়াবে।

সূত্র জানায়, আস্থার সংকট তৈরি হওয়ায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন। বড় প্রতিষ্ঠানে পণ্য সরবরাহ করা নারী উদ্যোক্তাদের টাকা আটকে গেছে। এখন এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। হাজার হাজার মানুষ লোকসানে বা পুঁজি হারানোর পরিস্থিতিতে পড়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইভ্যালি বা সমালোচিত অন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানেরর ব্যবসার মডেল টেকসই নয়। ডিসকাউন্টসহ নানা প্রলোভনে ক্রেতা আকর্ষণ হয়েছে। অনেক ক্রেতা তাদের আগাম টাকা দিয়েছে। এক পর্যায়ে তারা আর নতুন ক্রেতা পায়নি। ফলে সময় বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। কিন্তু এভাবে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। এ জন্য টিকসই পদক্ষেপ দরকার। যাতে এ ব্যবসায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকতে পারে। ই-কমার্স কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা কে কীভাবে করছে, তা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশিকা দিয়েছে, তার বাস্তবায়ন জরুরি। এখন কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্দেশিকা অমান্য করার অভিযোগ এলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কেউ যেন কোনো ফাঁকফোকরের সুযোগ নিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।