প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

আয় কমেছে রবির

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ জুলাই ২০২২ ১৭:১৫:৩৯ | আপডেট: ৩ years আগে
আয় কমেছে রবির

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভু্ক্ত রবির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ পয়সা। বৈদেশিক লেনদেনের নেতিবাচক প্রভাব না থাকলে এ আয় হতো ১৬ পয়সা। এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এ আয় হতো ২৫ পয়সা।

বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় কোম্পানিটি।

জানা গেছে, এ পর্যন্ত রবির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ৪ কোটি ৫ লাখ গ্রাহক। যা মোট গ্রাহকসংখ্যার ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ।

এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি’র আয় গত প্রান্তিকের তুলনায় ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় তা বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

গত প্রান্তিকের তুলনায় ভয়েস সেবা থেকে আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় তা বেড়েছে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ। গত প্রান্তিকের তুলনায় ডাটা সেবা থেকে আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় তা কমেছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির মোট আয় হয়েছে ২ হাজার ১০৫ দশমিক ৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে ১ হাজার ৪৭৫ দশমিক ৩ কোটি টাকা। যা চলতি প্রান্তিকের আয়ের ৭০ দশমিক ১ শতাংশ।

দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশকালে রবি জানায়, চলতি বছরে বিপুল পরিমাণ আয় হলেও ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাবার ফলে রবির মোট লোকসান হয় ১৭২ কোটি টাকা।

এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে রবি’র ফোরজি গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখে। গত প্রান্তিকের তুলনায় তা ৬ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ বৃদ্ধির হার ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ।

একই সময়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গড়ে ৫ দশমিক ১জিবি ডাটা ব্যবহার করেছেন। যা গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

এ বিষয়ে রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও এবং সিএফও এম. রিয়াজ রশীদ বলেন, মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমাদের কষ্টার্জিত মুনাফা হারিয়ে যাওয়াটা দুঃখজনক। টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে যেহেতু আমাদের আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হয়, তাই বৈদেশিক লেনদেনের হারের অস্থিতিশীলতা আমাদের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়।

তিনি আরও জানান, বাজার প্রতিযোগিতার আলোকে মূল্য নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপের অভাবও আমাদের ভোগাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে একইসাথে গ্রাহকবৃন্দ, অপারেটররা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা সবাই উপকৃত হবে।