প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

‘ইউক্রেন যুদ্ধে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো’

শাহীন হাওলাদার, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে
১১ অক্টোবর ২০২২ ১২:৫৫:০৬ | আপডেট: ২ years আগে
‘ইউক্রেন যুদ্ধে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো’

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে যার ফলে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলো স্বল্প সুদে সহজ শর্তে নেয়া ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এ্যাসিসটেন্স (আইডিএ) ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। এই ঋণের কিস্তি পরিশোধে বহুজাতিক ব্যাংক, উন্নয়ন সহযোগীতাদের একত্রে কাজ করতে হবে যাতে তারা ফিসক্যাল স্পেস পায়।

রোববার (১০ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও ওয়ার্লড ব্যাংকের উদ্যোগে ২০২২ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় আইএমএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কথোপকথনে তিনি এ কথা বলেন।

ডেভিড ম্যালপাস বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য মূল্যস্ফিতির চাপের সঙ্গে ঋণের বোঝা বাড়ছে। অপরদিকে সুদের পরিমাণও বাড়তে পারে। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশের দরিদ্র মানুষগুলো বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়বে।

চলমান রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে 'সেন্সলেস ওয়ার' আখ্যায়িত করে আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টিয়ানা জর্জিয়েভা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে বাজার যোগানের ঘাটতি ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। যার ফলে প্রতিটি দেশ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। এভাবে আগামী ৪ বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে খারাপ সময় যাবে। এ মন্দাভাবের কারণে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অর্থনীতে যে ক্ষতি হবে তার পরিমাণ দাড়াতে পারে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা জার্মানির মোট জিডিপির সমান। যার ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ সামলাতে না পারলে দরিদ্র দেশগুলোর মন্দাভাব আরও বাড়তে পারে। আগামীতে এ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।

এদিকে বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধে পূর্ণ সামর্থ আছে কিনা সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো 'ডেথ সার্ভিস সাসপেন্ডেট ইনিসিয়েটিভ' এর আওতায় সদস্য দেশগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধে সময় প্রস্তাব দেয়। এতে বাংলাদেশ এ সুবিধা নেয়নি। সেসময় আমরা বলেছি আমাদের ঋণ পরিশোধে সক্ষমতা আছে। আগামীতেও এ ঋণ পরিশোধে আমাদের কোন অসুবিধা হবে না।

এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ৩ বছর পর সশরীরে আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।