ইভ্যালি-ধামাকাসহ চার প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
বুধবার সংগঠনটি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইভ্যালি ডট কম লিমিটেড, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপ ও গ্লিটার্স আরএসটি ওয়ার্ল্ড।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিপূর্বে গত ১৮ আগষ্ট ৪টি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে অভিযোগ ও নজরদারির ভিত্তিতে ই-ক্যাব বিভিন্ন অভিযোগে ৮টি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করেছে। গত ২৮ আগষ্ট অন্যান্য অভিযুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ই-ক্যাব ১১ সদস্যের একটি কমপ্লায়েন্স এ্যাডভাইজারি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যপদ স্থগিতের সুপারিশ করে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো হলো-
ইভ্যালী ডট কম লিমিটেড: দীর্ঘদিন ধরে বার বার সময় নেয়ার পরও ক্রেতাদের সমস্যার সমাধান না করা, ই-ক্যাবকে চাহিদা মোতাবেক তথ্য না দেয়া, ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা-২০২১ পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন না করা ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে সন্তোষজনক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। ক্রেতা সাধারণের পাওনার কথা বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।
ধামাকা শপিং: কয়েকমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও ক্রেতাদের পণ্য বা মূল্যফেরত না দেয়া, এবং ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের অভিযোগসমূহের সমাধানে সুনির্দিষ্ঠ তারিখ ঘোষণা না করা ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাওনা পরিশোধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা ও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রাখার অভিযোগে সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ শপ: ই-ক্যাবের পত্রের জবাব না দেয়া, অভিযোগসমূহ নিষ্পত্তি ও ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা-২০২১ প্রতিপালন এর বিষয়ে পদক্ষেপ প্রহণ না করা, এ সম্পর্কিত তথ্য প্রদান না করাসহ ও সাম্প্রতিকসময়ে গ্রাহকের অর্থ ফেরত না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।
গ্লিটার্স আরএসটি ওয়ার্ল্ড: প্রতিষ্ঠানটি ই-কমার্সের নামে বেআইনি এমএলএম ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সদস্যপদ স্থগিত ঘোষনা করা হলো।
এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেতা ও মার্চেন্টদের পাওনা পরিশোধ, নির্দেশিকা বাস্তবায়ন ও অন্যান্য অভিযোগ নিষ্পত্তি করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় অভিযোগের বিশ্লেষণ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যপদ বাতিল করা হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।