ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার আদালতে কদমতলী থানাধীন পূর্ব ধোলাইপাড়ের বাসিন্দা মো.মুজাহিদুর রহমান নামের এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। প্রতারণার মাধ্যমে ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা করেন তিনি।
শুনানি শেষে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ধানমন্ডি থানাকে অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী ইভ্যালিতে ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের দুই টন এসি এবং ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি কাঠের টি টেবিল অর্ডার করেন। গত বছর ১১ জুলাই এসি বাবদ ৮৫ হাজার এবং ২২ জুলাই টেবিল টেবিলের দুই হাজার টাকা ছাড় বাবদ ২৩ হাজার টাকা পাঠান। পণ্য দুটি ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করবে বলে প্রতিষ্ঠানটির শর্ত ছিল।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর যোগাযোগ করলেও প্রতিষ্ঠানটি পণ্য দুটি ডেলিভারি করেনি। এরপর বাদী আসামি রাসেল বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি টেবিলের টাকা ফেরত দেয়। কিন্তু এসির বিষয়ে তারা কোনো সমাধান করেনি।
বাদীর অভিযোগ, আসামিরা তার কাছ থেকে এসি বাবদ ৮৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে পণ্য সরবরাহ করেনি এবং পরবর্তীতে পাওনা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে অপরাধ করেছেন।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে আটক করে র্যাব।
রাজাধানীর গুলশান থানায় এক গ্রাহকের দায়ের করা প্রতারণা মামলায় তাদের আটক করা হয়। এর পরদিন ওই মামলায় তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রিমান্ড শেষে গত ২১ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানার অপর মামলায় রাসেল-শামীমার আরও সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। এসময় রাসেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত এবং রাসেলের স্ত্রীর রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।