প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী

ভিড় বেড়েছে প্রসাধনীর দোকানে
হামিমুর রহমান ওয়ালিউল্লাহ
২৩ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৫৫:১৩ | আপডেট: ৩ years আগে
ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী

মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে দেখা গেছে নগরবাসীদের উপচে পড়া ভিড়। নতুন জামা-জুতো এবং প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আকর্ষণীয় মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে পেরে খুশি।

গত দুই বছর করোনার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে এই ঈদে সেটি পুষিয়ে নেয়ার আশা করছেন বিক্রেতারা। শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ঘুরে এই দৃশ্য দেখা যায়।

মার্কেটটির এপেক্স শো-রুমের সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ শামিম শেখ দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, ১৫ রমজান থেকে বিক্রি বেড়েছে। প্রায় সব ধরনের ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। ক্রেতাদের চহিদা এবং কেনাকাটার উপর ভিত্তি করে এ বছর আমাদের সবোর্চ্চ বিক্রি হবে বলে আশা করি। করোনা মহামারির ফলে গত দুই বছর আমাদের বিক্রি কম ছিলো।

ঈদ ঘনিয়ে আসায় প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলোতে ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মত।

দ্য বডি শপের ম্যানেজার রিয়াদ হোসেন বলেন, ক্রেতাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সাধারণত রমজানের শেষের দিকে ক্রেতাদের প্রসাধনী সামগ্রী কেনার চাহিদা বাড়ে। আশা করি আগামি সপ্তাহে আমাদের বিক্রি আরও বাড়বে। 

সুগন্ধির আউটলেট আল হারামাইনের ব্যবস্থাপক সাজিদুর রহমান বলেন, রোজা শুরুর পর থেকে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগ ক্রেতারা কিছুটা কম মূল্যের পারফিউমগুলো কিনছেন। দামি পারফিউম এ বছর তুলনামূলক কম বিক্রি হচ্ছে। আগামি সপ্তাহে আমাদের বিক্রি সর্বোচ্চ হবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সুগন্ধিগুলোর মধ্যে অ্যাম্বার সুগন্ধি, মেনেরে-আত্তার-আল কাবা, কস্তুরি আল হারামাইন এবং কস্তুরি সুগন্ধি বেশি বিক্রি হচ্ছে।

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের পোশাকের আউটলেট পরিদর্শন করে দেখা যায়; টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, শার্ট, থ্রি-পিস তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে।

লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড এক্সট্যাসির ম্যানেজার মনজুর রহমান বলেন, আমরা এ বছর ভালো বিক্রি করছি। 

এ বছর ভারত, চীন এবং থাইল্যান্ডে ভ্রমণকারী লোকের সংখ্যা কমায় আরও বেশি বিক্রির আশা করেছিলাম। কিন্তু আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। তবে রমজানের শেষ দিকে আমাদের বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করছি।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা নূর হোসেন বলেন, আমাদের কেনাকাটা প্রায় শেষ। আত্মীয়দের জন্য পোশাক কিনতে এসেছি। যেহেতু গত দুই বছর কারো জন্য কিছু কিনতে পারিনি তাই এবার চেষ্টা করছি সবার জন্য কিছু না কিছু কিনতে।