রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ার বঙ্গবাজার কাপড়ের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার। তাইতো ঈদকে সামনে রেখে এখন দম ফেলার ফুসরত নেই এখানকার ব্যবসায়ীদের। পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা আর দেশের নানা প্রান্তের ব্যবসায়ীদের ভিড়ে এখন মার্কেটটিতে বেচাকেনা বেশ জমজমাট।
গত দুই বছর করোনা মহামরির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পর করছে বিক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবাজারে গিয়ে দেখা যায়, নানা ডিজাইনের পোশাক দিয়ে দোকানগুলোকে সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর এসব পোশাক কিনতেই প্রতিদিন এখানে আসছেন হাজারো ক্রেতা ও ব্যবসায়ী।
১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বঙ্গবাজার। এরপর থেকে নগরবাসী, ছোট ব্যবসায়ী এবং খুচরা বিক্রেতাদের পছন্দের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বাজারটি।
এ বাজারে বিক্রেতারা সাধারণত ৩ ধরনের পোশাক বিক্রি করেন। এর মধ্যে রপ্তানিযোগ্য পোষাক, দেশীয় বাজারের জন্য উৎপাদিত পোশাক এবং আমদানিকৃত পোশাক। যা তুলনামূলক সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।
শপিংমল-ব্র্যান্ডের দোকান থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা ধরে রেখেছে বঙ্গবাজার। ক্রেতাদের চাহিদার মধ্যে প্রথমে রয়েছে, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, পেন্ট, সালোয়ার কামিজ, শাড়ি এবং বাচ্চাদের নানা ধরনের পোশাক।
মহামারি ফলে গত দুই বছরে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে ব্যস্ত সময় পার করছে বিক্রেতাদের। এর মধ্যে পাইকারি পাঞ্জাবির দোকানগুলিতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
দোকান মালিকরা দ্য বিজনেস পোস্ট’কে জানান, মার্কেটে পাইকারি ক্রেতাদের চাপ বেশি। তাই খুচরা বিক্রেতা এবং সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন না তারা।
শাহাজালাল পাঞ্জাবি বিতানের মালিক আলাউদ্দিন সরকার বলেন, ‘করোনার প্রভাব কমে যাওয়ায় সবকিছু এখন স্বাভাবিক। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে, এতে বিক্রিও বেশি হচ্ছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতাদের চাপ বেশি থাকায় ব্যস্ত সময় পার করছি।’
ডলার ফ্যাশন হাউসের মালিক ডলার হোসেন বলেন, ‘সারাদেশ থেকে প্রচুর অর্ডার পাচ্ছি। ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতারা দোকানে এসে পছন্দের পণ্যটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’
চয়নিকা গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘শব-ই-বরাতের আগে এবং পরে আমাদের বিক্রি ভালো ছিলো। এখন তুলনামূলক কিছুটা কম। তবে ঈদের আগের সময়টাতে আবারও বিক্রি বাড়বে।’
নাইস কালেকশনের মালিক দুর্জ ইসলাম বলেন, ‘মহামারি কারণে গত দুই বছর বাজার ফাঁকা থাকলেও এ বছর ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ঈদের আগে এই সময়টাতে বিক্রেতারা তাদের শেষ চালান বিক্রি করছে। তাই বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছে।’
মহিলাদের পোশাক কিনতে আসা গোপালগঞ্জের খুচরা বিক্রেতা নাজমুল কবির দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, গত দুই বছরের করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। আশা করছি আমরা পারবো।’