উচ্চশুল্ক হারের কারণে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার বাণিজ্য ব্যবধান অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া থেকে ভেজিটেবল ফ্যাট ও প্রচুর পামওয়েলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকি। কিন্তু উচ্চ শুল্ক হারের কারণে সে পরিমাণ পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা সম্ভব হয় না।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিমের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ৩,২৮৯.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে, একই সময়ে মাত্র ৩৩৭.৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। বাণিজ্য ঘাটতি ২,৯৫১.৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার তৈরি গাড়ি বিশ্ববাজারে বেশ জনপ্রিয়। উচ্চ শুল্ক হারের কারণে এসব গাড়ি বাংলাদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। শুল্ক কমালে এগুলো বাংলাদেশে বাজারজাত করা সম্ভব হবে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির আরও অনেক সুযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়া এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু রপ্তানি পণ্যের তালিকা শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের জন্য মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। এ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া গেলে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।