রাজধানীতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বক্তারা বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্স (ওডিএ) প্রদান কখনোই যথেষ্ট হবে না। একইসঙ্গে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেসরকারি খাতের সহযোগিতা অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি হোটেলে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতের প্রায় ৪০ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ। সেখানে জাতিসংঘের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ‘অংশীদারত্বের মাধ্যমে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন’–এর জন্য ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাত কীভাবে জোরালোভাবে অবদান রাখতে পারে সে বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন তারা।
দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বেসরকারি খাত আরও এগিয়ে আসতে পারে বলেও- ঐক্যমতে পৌঁছান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুইসকন্ট্যাক্টের গ্লোবাল সিইও এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিলিপ শ্নেউলি।
বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সম্ভাবনা, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বেসরকারি খাত আরও কী ভূমিকা পালন করতে পারে সে সম্পর্কেও মতামত প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকিং, বীমা, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, জ্বালানিখাত, এগ্রি-বিজনেস, ফার্মাসিউটিক্যালস, আইসিটি এবং ব্যবসায়িক সমিতিসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা।