প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে পাট, ভালো দামে খুশি চাষিরাও

টিবিপি ডেস্ক
২২ আগস্ট ২০২২ ১৩:৫৪:২৩ | আপডেট: ২ years আগে
উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে পাট, ভালো দামে খুশি চাষিরাও

পাটের ভালো দাম পেয়ে এবার খুশি পাট চাষিরা। পুকুর ও ডোবায় জাগ দেওয়া পাট ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা। যদিও এবার পর্যাপ্ত পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন জেলার কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২১-২২ ফসল উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ৯শ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। এতে প্রায় ৪০ হাজার বেল পাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
সরকারের পাট জাত দ্রব্য ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ পাটের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি হিসেবে পাট কাটিকে ব্যবহার ও পাট চাষে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জেলার কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

জানা যায়, ২০২১-২০২২ খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৯ শ ৮৫ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে দেশী জাতের পাট রয়েছে ৩০ হেক্টর ও তোষা জাতের পাট রয়েছে ৩ হাজার ৮৫ হেক্টর। এতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার বেল পাট।

গত বছর পাট প্রতিমণ বিক্রি হয়েছিল প্রকারভেদে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত। এবার বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত। বর্তমানে বাজারে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় পাটের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।

পাট ব্যবসায়ীরা জানান, এবার বাজারে ওঠা পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫শ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত।

মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি, পাটের নানা বিধ ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া ও পাটের ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন জেলায় পাটের চাষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২১-২২ খরিপ-১ ফসল উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও যেখানে পানি রয়েছে সেখানে পর্যায়ক্রমে পাট জাগ দিচ্ছেন কৃষকরা।

চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার বেল পাট উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সূত্র- বাসস