ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৬ মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সব ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
নতুন সময়সীমা অনুযায়ী এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে- এমন কিস্তিগুলোর ২৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করা হলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই ঋণ খেলাপি ঋণ হিসেবে গণ্য হবে না।
বাকি ৭৫ শতাংশ আগামী বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে এবং অন্যান্য কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে।
সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামারির মধ্যে বেসরকারি খাতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং ঋণ প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে ৩০ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
তখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছিল, ঋণ বা ঋণের যেসব কিস্তি ৩০শে জুনের মধ্যে বকেয়া হবে সেসব ঋণ কিংবা ঋণের কিস্তির কমপক্ষে ২০ শতাংশ আগামী ৩১শে আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করা হলে ওইসব ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না।
তবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ সহ শীর্ষ ব্যবসায়িক সংস্থাগুলি ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করে আসছিল।
সম্প্রতি ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ শ্রেণিকরণ না করার জন্য অনুরোধ জানান তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা। এর পাশাপাশি পুনঃতফসিলীকরণের অনুরোধও জানান তারা।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহনশীলতা সত্ত্বেও চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে ব্যাংকিং খাতে অনাদায়ী ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৮৯৯ কোটি ১২ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, জুনের শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা এই খাতের মোট বকেয়া ঋণের ৮.৬১ শতাংশ।
তিন মাস আগে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৪ হাজার ২৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ৮.৪৮ শতাংশ।
ধারণা করা হচ্ছে খেলাপি ঋণ আরও বাড়তে থাকবে কারণ বেশিরভাগ গ্রাহক করোনা মহামারির কারণে শোধ করতে পারছে না।