প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

ঋণখেলাপি রোধে মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ মার্চ ২০২৩ ২০:০৭:৩৬ | আপডেট: ১ year আগে
ঋণখেলাপি রোধে মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন

মন্ত্রিসভা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের ঠেকাতে ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।

খসড়া আইনের অধীনে, একটি পরিবারের সর্বোচ্চ তিন সদস্য (বর্তমান চার সদস্যের পরিবর্তে) একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

এখন ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর অধীনে পরিচালিত হয়।

সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, আইনটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে এর সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যারা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি তাদের সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।’

পদক্ষেপের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সচিব বলেন, ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে এবং এর দ্বারা বিদেশ যাওয়া, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান (তাদের বিরুদ্ধে) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মের নিবন্ধন নিষিদ্ধ করতে পারে।

এছাড়া, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হওয়ার যোগ্য হতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।

কোনও ব্যাংকের কোনও পরিচালক ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তার পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারে।

সচিব বলেন, কোনও ব্যাংক ঋণখেলাপিদের তালিকা যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে ব্যর্থ হলে ওই ব্যাংককে ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন বিলম্বের জন্য ব্যাংককে অতিরিক্ত এক লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি পরিবারের সর্বোচ্চ চার সদস্য যেকোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারলেও, এখন তা তিনজনে নামিয়ে আনা হয়েছে।

খসড়া আইনে সংযোজিত একটি নতুন বিধান অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাংক পরিচালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই জামানত, বন্ড বা জামানত দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক যাতে আইনের অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফাউন্ডেশন নিয়মিত পরিদর্শন করতে পারে সেজন্য এখানে একটি বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।