প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

এক লাফে ৪০০ টাকা কমেছে জিরার দাম!

দিনাজপুর প্রতিনিধি
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৭:০৭ | আপডেট: ৩ মাস আগে
এক লাফে ৪০০ টাকা কমেছে জিরার দাম!

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে নতুন জিরার আমদানি বেড়েছে। এতে করে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি দাম কমছে ৪০০ টাকা। দুই মাস আগে ১ হাজার ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই

সোমবার দুপুরে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন এ তথ্য জানান।

হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, ‘গত বছর ৪০০-৪৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে। এরপর ভারতে জিরার ফলন কম এবং আমদানি কমে যাওয়ায় আমাদের দেশে বাড়তে থাকে দাম। সর্বশেষ বিক্রি হচ্ছিল ১ হাজার ১২০ টাকা কেজি দরে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার মসলা আমদানির অনুমতি দেয়। মসলা ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে জিরা আমদানির কারণে কমে গেছে দাম। এদিকে দাম কমে যাওয়ায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছর ভারতে জিরার ফলন ভালো এবং আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমে গেছে। গত দুই মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দাম কমেছে কেজি প্রতি ৪০০ টাকা।’

হিলি স্থলবন্দর বাজারে ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত দুদিন ধরে ভারতীয় আমদানিকৃত কাকা জিরা ৭২০ টাকা, বাবা জিরা ৭২০ টাকা, মধু জিরা ৭২০ টাকা, অমরিত জিরা ৭২০ টাকা, সোনা জিরা ৭৩০ টাকা ও ডিবিগোল্ড জিরা ৭৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’

মসলা কিনতে আসা আবদুল খালেক বলেন, ‘এক বছর ধরে জিরার দাম আকাশছোঁয়া। ১০০ গ্রাম জিরা ৪০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। সেই জিরা কিনতে হয়েছিল ১০০ টাকায়। বর্তমানে দাম অনেকটা কমে গেছে। যদি আগের দামে কিনতে পারতাম তাহলে ভালো হতো।’

হিলি মসলা বাজারের ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর ভারতে জিরার ফলন কম এবং আমদানি কম হওয়ার কারণে জিরার দাম অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল। পবিত্র রমজান মাসকে উপলক্ষ করে হিলি স্থলবন্দর কাস্টম বিভাগ ও ব্যবসায়ীদের যৌথ প্রচেষ্টায় বর্তমানে ভারত থেকে নতুন জিরা আমদানি হচ্ছে। তাই দাম কেজিতে প্রায় ৪০০ টাকা কমে গেছে। ৭১০ টাকা কেজি দরে কিনে ৭২০ টাকায় বিক্রি করছি। আশা করছি, আগামীতে জিরার দাম আরও কমবে।’

হিলি স্থলবন্দর কাস্টম বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘আগামী রমজান মাসের বাজারদর নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়ায় মসলার বাজারদর জনসাধারণ ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ব্যবসায়ী ও কাস্টম বিভাগ যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে জিরার দামসহ অন্য মসলার বাজারদর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি এই সফলতা পাওয়া যাবে।’