স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ অর্থনীতির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সুযোগ তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) ‘আইডেন্টিফিকেশন অব ট্রেড-রিলেটেড গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রিপারেশন অব সেক্টর-স্পেসিফিক ট্রেড রোডম্যাপস ফর অভারকামিং দ্য চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) অধীনে সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি অধীনস্থ সংস্থা বিএফটিআই বাণিজ্য ও ব্যবসায়ের জন্য উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর সম্প্রতি পরিচালিত গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই সভার আয়োজন করে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, এলডিসি উত্তরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেই সাথে উত্তরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং বাণিজ্য বিকাশের জন্য পণ্য ও রপ্তানির বহুমুখীকরণ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ব্যবসা সহজ করার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সরকারের সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।’
পরামর্শ সভায় অংশীজনরা এলডিসি উত্তরণের বাণিজ্যসম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে এবং তা কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তারা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং নন-লেদার জুতা চারটি সেক্টরের জন্য বাণিজ্যের রোডম্যাপ তৈরির জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
এর আগে প্রথম ধাপে তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, কৃষি পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং মৎস্য ও পশুসম্পদসহ বিভিন্ন খাতের জন্য বাণিজ্যসম্পর্কিত রোডম্যাপ তৈরি করতে ৩ নভেম্বর অনুরূপ অংশীজন পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও চারটি সেক্টর সমন্বিত অংশীজন পরামর্শের তৃতীয় ধাপ ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও উইংয়ের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।